কালাম আজাদ : বিশ্বকে বদলে দেওয়ার স্বীকৃতি পাচ্ছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ এভারেস্টজয়ী ও একমাত্র সপ্তশৃঙ্গ জয় করা বাংলাদেশি ওয়াসফিয়া নাজরীন। ‘প্রথাবিরোধী ভাবনা ও উদ্ভাবনী’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবার তিনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির মর্যাদাপূর্ণ ‘ইমার্জিং এক্সপ্লোরার’ পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। অলাভজনক এ সংস্থাটি এবার মোট ১৩ জন অভিযাত্রী, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পরিবেশবিদ ও লেখককে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। শনিবার সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে পুরস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, দুঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিজের অঙ্গীকার ও কর্মতৎপরতার জন্য ওয়াসফিয়া নাজরীনকে ২০১৪ সালের অন্যতম বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাবও দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি।
এবারের পুরস্কার জেতা প্রসঙ্গে ওয়াসফিয়া নাজরীন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিকে বলেন, পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ আমার প্যাশন; অলাভজনক কাজই মূলত আমার পেশা। সুতরাং নারীর অগ্রযাত্রার সঙ্গে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে- সেটাই তুলে ধরতে চাই।
জিওগ্রাফিক সোসাইটির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে- এবার ওয়াসফিয়া ছাড়াও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির তালিকায় রয়েছেন কানাডার জৈবিক নৃ-তত্ত্ববিদ মেরিনা এলিয়ট, শ্রীলঙ্কার সমুদ্র গবেষক আশা দে ভোস, যুক্তরাষ্ট্রের বন্যপ্রাণ অপরাধ তদন্ত কর্মকর্তা নাফতালি হনিগ, চীনা পরিবেশবাদী গাউ ইউফাং, ইন্দোনেশিয়ার পানুত হাদিসিসইও, তাইওয়ানের প্রকৌশলী আর্থার হং, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী জে“িা আইলার, জাপানি নৃ-তাত্ত্বিক ইউকিনরি কাওয়াই , জাম্বিয়ার জীববিজ্ঞানী থান্ডিউ মোয়েতয়া ও কানাডার নৃ-তাত্ত্বিক জেনেভাইব পিটজেইঙ্গার এবং যুক্তরাষ্ট্রের লেখক ডেভিড ল্যাং ও ভূ-জীববিজ্ঞানী জেফ্রি মারলো। পুরস্কার হিসেবে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে ডলার দেওয়া হবে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী নেল বলেন- ১২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানী, অভিযাত্রী ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদীদের উৎসাহিত করতে কাজ করে আসছে সোসাইটি, যারা জানার সীমানাকে আঘাত করছে, নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করছেন এবং সৃজনশীল উপায়ে আমাদের পৃথিবীর বড় সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছেন। এ ধরনের পুরস্কার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘নতুন নেতৃত্ব’ তৈরি করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তরুণ বিজ্ঞনীদের ‘পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান’ নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।