রিমন মাহফুজ , কান ( ফ্রান্স) থেকে : ৬৯ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণপাম জেতার লড়াইয়ে প্রতিযোগিতা বিভাগে আছে জুলিয়েট বিনোশ অভিনীত ফরাসি ছবি ‘সেøক বে’। শুক্রবার (১৩ মে) উৎসবের ৩য় দিনে সকাল ৮টায় গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় ওসাল দুবুসিতে এটি দেখানো হয়।
ব্রুনো ডুম পরিচালিত কমেডি ধাঁচের ছবিটির প্রেক্ষাপট ১৯১০ সালের গ্রীষ্মকাল। সেই সময় ইংলিশ চ্যানেলের সাগরপাড়ে বেশ কয়েকজন পর্যটক নিখোঁজ হন। ইন্সপেক্টর মাচিন ও ম্যালফয় এই রহস্যের কিনারা করতে হাজির হন সেøক বে নামক স্থানে। এখানে জেলে সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের মধ্যে একটি পরিবারকে ঘিরে থাকে যতো কৌতূহল। ছবিটি দুপুর ২টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে আরও দু’বার এর প্রদর্শনী হয়।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন জুলিয়েট বিনোশ। পঞ্চাশে পা রাখা জুলিয়েট বিনোশ ফরাসি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। জ্যঁ-লুক গদার থেকে শুরু করে বিখ্যাত অনেক নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘জুরাসিক পার্ক’-এ অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে জুলিয়েট বেছে নিয়েছেন ক্রিস্তোফ কিসলোস্কির ‘ব্লু’ (১৯৯৩)। তার খ্যাতি আছে হলিউডেও। অ্যান্থনি মিঙ্গেলার ‘দ্য ইংলিশ প্যাশেন্ট’ তাকে এনে দেয় অস্কার পুরস্কার। এ ছাড়া লাসে হলস্ট্রমের ‘চকোলেট’ ছবির জন্য পেয়েছেন অস্কার মনোনয়ন।
কান উৎসবে ২০১০ সালে আব্বাস কিয়ারোস্তামির ‘সার্টিফায়েড কপি’র জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয় করেন বিনোশ। তিনিই ইউরোপের একমাত্র অভিনেত্রী যার ঝুলিতে কান, বার্লিন ও ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার আছে।
শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, মঞ্চেও দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়েছেন জুলিয়েট বিনোশ। তাছাড়া তিনি দারুণ নাচতেও পারেন। ২০০৮ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নৃত্যশিল্পী আকরাম খানের সঙ্গে মডার্ন ড্যান্সের প্রযোজনা নিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন বিনোশ।