মমিনুল ইসলাম: মালয়েশিয়ায় অপহরণ হওয়া ৯ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রকে সহায়তা করায় দুই কিশোরীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অপহরণের পর একটি বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ভুক্তভোগীদের। এখানে তাদের অর্থের বিনিময়ে দেখাশোন করত আটক পাঁচ জন।
পুলিশের এসিপি আমিনুদ্দিন শুক্রবার সেরডাং শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। গত সোমবার অপহৃত হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের একজনের চাচীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণের সঙ্গে জড়িত ওই চক্রটি ওই নারীর কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে সর্বমোট ৩৭ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত দাবি করে। এ অর্থ একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃতদের খুন করার হুমকি দেয় চক্রটি।
আমিনুদ্দিন আরও জানান, শুক্রবার চেরাসের তামান পুতারির ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ১৬ থেকে ১৯ বছরের তিন ছেলে এবং ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরীকে আটক করা হয়। অপহৃতদের দেখাশোনার বিনিময়ে ১,৫০০ রিঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছে আটকরা।
অপহৃতদের উদ্ধার করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে জানিয়ে এসিপি বলেন, এক সপ্তাহ থেকে দুই মাস পর্যন্ত তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ওই বাসায়। এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে ভুক্তভোগীরা। এখান থেকে কাঠের চেয়ারের একটি পায়া ও বেত পাওয়া গেছে। এসব দিয়ে নয় অপহৃতকে আঘাত করা হতো বলে তিনি জানান।
এছাড়া বাসা থেকে ১৩ টি মোবাইল ফোন ও ভুক্তভোগী ৯জনের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসিপি জানান, গ্রুপটি কর্মসংস্থান এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি দেয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশ চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সে একজন বাংলাদেশি বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি। -স্টার।