সালমা পারভীন : জ্বলছে সিগন্যাল বাতি। অথচ তা মানছে না কেউ। হাতের ইশারায় কোনভাবে চলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ। সাথে যত্রযত্র পার্কিং। সব মিলে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। আর এর জন্য সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতাকে দায়ি করছেন সবাই। তবে সংকট নিরসনে, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কথা বলছেন সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন।
প্রতিবছরই মানুষ বাড়ছে চট্টগ্রামে। সেইসাথে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। ফলে, বন্দরনগরী হয়ে ওঠছে যানবাহনের শহর।
কিন্তু এসব যানবাহন চলাচলে নেই কোন শৃঙ্খলা। নেই স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা। এখনো হাতের ইশারায় চলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ। ফলে মূল সড়ক থেকে অলিগলি- সব সড়কেই লেগে থাকে অসহনীয় যানজট।
মূলত যানবাহন ব্যবস্থাপনা দেখ ভালের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সমন্বয় নেই সংস্থা দুটির মধ্যে। তাই পরিস্থিতি দিনে দিনে জটিল হওয়ায় এবার সমন্বয়ের কথা বলছেন সিটি মেয়র। এছাড়া নগরীতে গণপরিবহনে ব্যাপক ভোগান্তি পেতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে সকাল আর বিকেলে যানবাহন সংকটে চরম কষ্ট পেতে হয় মানুষকে। তাই, নগরীর গনপরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো যায় কিনা সেই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানান সিএমপি কমিশনার। একই সাথে যানজট নিরসনে ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন অবৈধ যানবাহন চলাচল যাতে করতে না পারে এজন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সিএমপি প্রধান।
চ্যানেল২৪ থেকে নেয়া