ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: যারা আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে আল্লাহর আনুগত্য করে চলবে তারা পরকালে জান্নাত পাবে। আর যারা আল্লাহর আনুগত্য করবে না তারা চিরশান্তির জান্নাত লাভ করতে পারবে না। তারা যাবে জাহান্নামে। আল্লাহর নবী (সা.) জান্নাত সম্পর্কে বেশ কিছু হাদিস বর্ণনা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো।
রাসূল (সা.) বলেছেন,
রাসূলের (সা.) উম্মতের মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- (আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা রা.)
যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। -(বায়হাকি)
জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে তাদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। -(মুসলিম)
জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। -(বুখারী )
জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা)
জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার।-(বুখারী, মুসলিম )
জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। -(বুখারী, মুসলিম)
জান্নাতীরা সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাশা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না।-(মুসলিম)
জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব সময় যুবক থাকবে, বৃদ্ধ হবে না। -(মুসলিম)
জান্নাতে (এমন) এক দল প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখিদের অন্তরের মতো। -( মুসলিম )