নাসিমুজ্জামান সুমন : আজ (শনিবার) জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনটি উদ্বোধন করবেন, পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলছেন, দলটি বিভিন্ন কারণে এতদিন ঘুমিয়ে ছিলো, আশা করছি এই সম্মেলন দলটিকে ঘুরে দাড়াতে সহায়তা করবে।
দলের নেতাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ এবং সরকারের অংশ নিয়ে আবারও সংসদে বিরোধী দল হওয়া জাতীয় পার্টির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান কতটুকু?
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘অনেক সময় অনেকেই মনে করেন জাতীয় পার্টি হারিয়ে গেছে বা পার্টির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। আসলে বিষয়টি তা নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও স্বক্রিয় আছে, তদের আমরা একত্রিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রত্যাশা কাউন্সিলের মাধ্যমে তাদেরকে উজ্জীবিত করব এবং তাদের নব প্রাণের সূচনা হবে। আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হব, সংগঠিত হব।’
জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা কী? ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পার্টির সফলতা কতটুকু?
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন পরিষদে কিছু ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছি। যে পরিস্থিতিতে, যেভাবে নির্বাচনগুলো হচ্ছে সেখানে আমাদের অংশগ্রহণ করাই মূল লক্ষ্য ছিল, সেটা আমরা করেছিও। কোন কোন যায়গায় ভালো ফলও পেয়েছি। জাতীয় পার্টি তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি স্থানেই প্রতিদন্দ্বিতা করেছে এবং বেশ কিছু যায়গায় সাফলতাও পেয়েছে। আমি মনে করি বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সাফলতা জাতীয় পার্টির জন্য বড় ধরণের অর্জন।’
কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টি একদিকে সরকারের অংশ, অন্যদিকে সংসদে বিরোধী দল। সংসদের বাইরে কী আপনার বিরোধী দল হিসেবে সেই অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন?
তিনি বলেন ‘এটা সত্য যে আমরা সেভাবে আমাদের অবস্থান তৈরি করতে পরিনি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংসদের বাইরে বিরোধী দল হিসেবে আমাদের যতটুকু কর্মকা- থাকা উচিত ছিল, তা লক্ষ্য করা যায়নি। দলটি বিভিন্ন কারণে এতদিন ঘুমিয়ে ছিল, এখন আবারও পূর্নজাগরণ হবে। দীর্ঘদিন পর এবার আমরা কাউন্সিল করব এবং আমাদের রাজনীতি সুস্পষ্ট করে জনগণের পক্ষের শক্তি হিসেবে আত্বপ্রকাশ করব। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেই উদ্দেশ্যেই আমাদের এই সম্মেলন।’
দলটির বর্তমান অবস্থার কারণ কী?
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। দলকে বিলীন করার জন্য, দলের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করার জন্য, সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। দলের বিরুদ্ধে মামলা মকাদ্দমাসহ বিবিধ অপতৎপরতার কারণে দলের অবস্থান ভেঙ্গে পড়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের রাজনৈতিক স্বক্রিয়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। আমাদের বিশ্বাস আমরা সফল হব।’ বিবিসি বাংলা।