আরিফুর রহমান : মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ধনাত্বক ও ঋণাত্বক প্রতিক্রিয়ায় বজ্রপাত হয়। আর তা সরাসরি অথবা কোন পরিবাহীর মাধ্যমে নেমে আসে মাটিতে। নামার পথে মাটির সাথে যুক্ত কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেটাকেই মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে বজ্রপাত। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত উচুঁ মাধ্যমকেই বেছে নেয়।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মো. শামসুল হক মন্ডল বলেন, ‘মাঠে যারা কাজ করে তারা ঝড়-বৃষ্টির সময় গাছের তলে আশ্রয় নেয়। ফলশ্রুতিতে যদি বজ্রপাত হয় তাহলে উচুঁ গাছটায় আগে আঘাত করে। ফলে গাছের নিচে যারা থাকবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বজ্রপাতের কারণে অনেক সময় বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু যদি আর্থিং সিস্টেম থাকে তাহলে ঐ বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে না। পাশাপাশি যারা ঐ বিল্ডিংয়ে বাস করবে তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে না’।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে সারাদেশে ১ মাসে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। যার অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর কারণ গ্রামাঞ্চলের বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলা ও অসচেতনতা।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরামর্শগুলো:
ঝড়-বৃষ্টির সময় কোন গাছের নিচে আশ্রয় না নেয়া।
খোলা মাঠে থাকলে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল পরে নিচু হয়ে থাকা।
সরাসরি মাটির সাথে যুক্ত না থাকা।
বাসায় থাকলে জানালার পাশ না থাকা।
বজ্রপাতের সময় গবাদিপশুকে খোলা মাঠে না রাখা।
চলন্ত অবস্থায় গাড়ি থামিয়ে অবস্থান করা।
পানির কাছাকাছি না থাকা।
বিদ্যুতের খুঁটি বা তারের নিচে না থাকা।
মাটির সাথে যুক্ত কোন ধাতব পদার্থে হাত বা হেলান না দেয়া।
প্রতিটি ঘরের ওপরে ধাতব বস্তু দিয়ে সরাসরি মাটিতে আর্থিংয়ের ব্যবস্থা রাখা।
মার্কিন গবেষণা নাসার তথ্যমতে বায়ুমন্ডলে সবচেয়ে নিচের স্তরের ওজন বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাতের প্রবণতা বাড়ছে। কার্বণ ডাই অক্সাইডসহ অতিমাত্রায় বায়ু দূষণের ফলেই এ মাত্রা দিন দিন আরও বাড়ছে বলেও তথ্য দিয়েছে নাসা। অতি বজ্রপাতে বাড়ছে তাপমাত্রা, গলছে বরফ। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা।
সূত্র: বাংলা ভিশন থেকে নেয়া
ভিডিও দেখুন এখানে