সারীফা রিমু: তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সেবার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মোবাইল ফোনের চাহিদা। এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দেশে তৈরি হয়েছে দাবি হ্যান্ডসেটের বিশাল কালোবাজার। প্রতি পাঁচটি সেটের একটি ঢুকছে অবৈধ পথে। আর এর জন্য উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপকেই দুষছেন ব্যবসায়িরা। আর অনুমোদনহীন এসব সেটের প্রবেশ ঠেকাতে ডেটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তথ্য-প্রযুক্তির এই যোগে মোবাইলে কথা ছাড়াও, মোবাইল ব্যাকিং, ই-কর্মাস ছাড়াও ইন্টারনেটের নানান সুবিধার কারণে দ্রুত বিস্তৃতি ঘটছে স্মার্ট ফোনের। আর এই সুযোগে বেড়ে চলেছে কালোবাজার। মোবাইল আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিএ-য়ের গবেষণা বলছে প্রতিবছর বিশ শতাংশ মোবাইল ফোন সেট অবৈধ পথে দেশে আসে। আর এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে কয়েক শত কোটি টাকা।
বিএমপিএয়ের সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক জানান, এই বিশতাংশ মানে হচ্ছে বছরে প্রায় আড়াশ কোটি টাকা টেক্স যা সরকারের পাওয়া কথা থাকলেও পাচ্ছে না। এবং বড় অংশের একটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে ।
উচ্চ হারে কর আরোপ করাই কালোবাজারের পথ সুগম হচ্ছে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা।
রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে মোবাইল ফোন হ্যান্ড সেট আমদানি থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৪শ কোটি টাকা। এর পরের বছরে রাজস্বের পরিমান বেড়ে দাঁড়াই ৮শ ৭৬ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থ বছরে নয় মাসে ৪শ ২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির পরিসংখ্যানেও বেড়িয়ে এসেছে দেশে অবৈধভাবে আসা হ্যান্ড সেটের তথ্য। নকল এবং অবৈধ সেটের বাজার রোধে ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
এই কারোবাজারি রোধে বা বন্ধে জনসচেতনা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ।
বর্তমানে মোবাইল আমদানি করছে ১০৮ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান । আর বিটিআরসির অনুমোদিত দিয়েছে ৯০ টি ব্র্যান্ড আমদানির ।
যমুনা টিভি