আরিফুর রহমান : দরপত্রের সর্বোচ্চ দরদাতাকে দেয়া হয়েছে কার্যাদেশ। কিন্তু সেই দরদাতা সরবরাহ নিতে পারছেনা ১৭০ টন স্ক্র্যাপ। কারণ এসব জিনিস নিতে হলে সিবিএ সভাপতিকে দিতে হবে ৩০ লাখ টাকার চাঁদা। ফলে বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আর ঘটনাটি ঘটেছে দেশের একমাত্র সরকারি গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করলেও সেটির প্রতিবেদন এখনও মেলেনি।
দেশে গাড়ি সংযোজনের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এই কারখানায় গাড়ি সংযোজনের অনেক জিনিসই জমা থাকে স্ক্র্যাপ হিসাবে, পরে যা বিক্রি করে দেয়া হয়।
গত বছর ১৭০ টন স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহবান করে প্রতিষ্ঠানটি। যাতে সর্বোচ্চ দর নিয়ে মনোনিত হন মান্নান আয়রন মার্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এসব জিনিস সরবরাহ নিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ উঠেছে স্ক্র্যাপ পণ্য নিতে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে সিবিএ সভাপতি। ফলে আদালতের দারস্ত হয়েছেন ঠিকাদার।
চট্টগ্রাম মান্নান আয়রন মার্টের মালিক এস এম মান্নান বলেন, ‘আতিকুর রহমান আমার কাছে বিশাল অঙ্কের চাঁদা দাবি করল। এটা সরকারি সংস্থা। আমি সরকারি কর্মকর্তাদের বলব সে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চাঁদা দাবি করে, এই ধরনের হয়রাণি করে। আতিকুর রহমান বলে প্রগতিটা আমার, আমি যা বলি তাই হয়’।
সিবিএ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুয়াভাবে আমার নামে ক্লেম করছে। এটা কোনভাবেই সিবিএর অন্তভূক্ত নয়। মিডিয়ার লোকেরা ভয়েস পরিবর্তন করছে। বাস্তবে এর কোন সত্যতা নেই’।
অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দীর্ঘ ১ বছরের আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন। সেই সাথে সুরুহা হয়নি ঘটনাটির।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট যে সচিব আছে তার কাছে আমরা তদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেটা তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত কমিটি এখনও নিপোর্ট দেয় নাই’।
শুধু চাঁদা দাবিই নয় সিবিএ সভাপতির বিরুদ্ধে শ্রমিক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার, কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে। এর মধ্যে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রতিষ্টানটির এক কর্মকর্তা।