কায়কোবাদ মিলন: তিনি মহাত্মা গান্ধীর কোলে কাঁধে বড় হয়েছেন। কিন্তু ৮৭ বছর বয়সী কান্নুবাই রামদাস গান্ধী জীবন সায়াহ্নে পতœী ৮৫ বছর বয়সী ড: শিবা লক্ষীকে নিয়ে এখন বাস করছেন দিল্লির একটি বৃদ্ধাশ্রমে। রামদাস মহাত্মা গান্ধীর নাতি।
এই দম্পতি নিঃসন্তান। জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ম্যাচাচুয়েটসে কারিগরি শিক্ষা শেষে কান্নুবাই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবং পরে নাসায় কাজ করেন। তার স্ত্রী প্রফেসর এবং বোষ্টনে গবেষণা করতেন।
কান্নুভাই বলেন, স্বজনদের সাথে মিলিত হতে ২০১৪ সালে তারা দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু স্বজনদের ব্যাপারে তারা হতাশ হয়ে পড়েন এবং খুবই নিম্মমানের একটি বৃদ্ধাশ্রমে বাস করতে থাকেন।
একটার পর একটা আশ্রম বদল করে এই দম্পতি গত ৮মে দিল্লির একটি আশ্রমে ওঠেন। তারা গুজরাটের সবরমতি আশ্রমে থাকতেন। জানা গেছে, সবরমতি আশ্রম থেকে এই দম্পতিকে বের করে দেয়া হয়েছে।
গুজরাটের আশ্রমে এই পরিবারকে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি একক রুমে তারা থাকতেন। ১৭০ জন লোকের জন্য ছিল মাত্র ৪টি টয়লেট। চাকররাও সেই বাথরুমে যেত।
কান্নুবাই এনডিটিভিকে বলেন, স্বজনরা আমাদের দুঃখের দিনে এগিয়ে আসেননি। বাপুর বংশধররা তার বিপরীত। শিবা লক্ষী বলেন, আমাদের এমন একটা পরিবেশ দরকার যেখানে বুদ্ধিজীবীদের সাথে মত বিনিময়ের সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু এই বয়সে আর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া সম্ভব নয়।