গাজী মিরান : আমাদের দেশে যখন কোন হত্যাকা- ঘটে তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা বলা হয় তা কেবল অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মত। যার ফলে প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে মন্তব্য করেন প্রথম আলোর যুগ্ন-সম্পাদক সোহরাব হাসান।
চ্যানেল ২৪ এর ‘মুক্তবাক’ অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসন যখন ঘাতককে খুঁজে পায় না তখন চেষ্টার নামে মানুষকে একটা সান্তনা দেয়। কিন্তু তাঁরা যে হত্যাকা-ের মূল উদঘাটন করতে পারছে না তার প্রমাণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম, জুলহাজ’এর হত্যাকা-ের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে এইসব হত্যাকা-ের দুর্বৃত্তদের ধরতে পারছে না কেন? এই অপরাধীগুলো এই ভূখন্ডতেই আছে। তারা একের পর এক হত্যাকা- ঘটিয়েই যাচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কিছু করতে পারছে না।
সোহরাব হাসান বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ২৪ ঘন্টা আগে কক্সবাজারে আরেকটি হত্যাকা- ঘটেছে। সেখানে রোহিঙ্গারা আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডারকে হত্যা করেছে। তাই আমার মনে হয় এই দুই ঘটনার সঙ্গে একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। কারণ অনেক দিন থেকেই মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আমাদের দেশে কিছু রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের উগ্রচিন্তা,উগ্রনীতি থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের সাথে জনগণের প্রধান সম্পর্ক হচ্ছে ‘আস্থা ও নিরাপত্তার সম্পর্ক’। আর এই সম্পর্কের যদি ঘাটতি হয় তাহলে কিন্তু কোন অস্ত্র বা অর্থ-প্রযুক্তি দিয়ে তা পূরণ করাও সম্ভব না। তাই সরকারের প্রথমেই একটা সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের ধরে জনগণের মনে একটা আস্থা তৈরি করা দরকার। কারণ, এই ধরণের সন্ত্রাসীরা কৌশল পাল্টিয়েছে। আগে বড় বড় সমাবেশে এবং বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের ওপরে হামলা করত। এখন নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে করছে। যার ফলে জনগণের মধ্যে এক ধরণের ভীতি তৈরি হচ্ছে। তাই এই ভীতি দূর করতে হবে সরকারকেই।