আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোন কোন কারণে এবং কীভাবে ‘বউ পেটানো’ উচিত, তা নিয়ে সৌদি আরবের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে। স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালানোর পক্ষে রাষ্ট্রীয় টিভিতে এমন প্রচার নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ফ্যামিলি থেরাপিস্ট বক্তব্য রাখছেন। তার নাম খালেদ আল-সাকাবি। তিনি ভিডিওতে ব্যাখ্যা করছেন, একজন পুরুষ কোন কোন কারণে তার স্ত্রীকে মারবেন।
এতে সাকাবি বলেন, স্ত্রীকে মারা যেতে পারে। তবে যে সব কারণে ইসলাম স্ত্রীকে মারার অনুমতি দেয়, শুধুমাত্র সেই সব কারণেই মারতে হবে।
তার কথায়, ‘আনুগত্যা ও শৃংখলার ভঙ্গের জন্য স্ত্রীকে মারা যেতে পারে, স্বামীর নিজের রাগ প্রকাশ করার জন্য নয়।’
সাকাবি স্ত্রীকে মারধরের পর্যায়গুলো এভাবে বর্ণনা করেন, কোনো স্ত্রী যদি অবাধ্য হয় কিংবা শৃংখলা ভঙ্গ করে প্রথমে স্বামী শাস্তি স্বরূপ বিছানায় স্ত্রীর দিকে পিঠ দিয়ে শয়ন করবে। এতে কাজ না হলে আলাদা কক্ষে শয়ন করবে।
এরপরও স্ত্রী সংশোধন না হলে তখনই কেবল মারধরের বিষয়টি আসতে পারে বলে জানান সাকাবি। তবে শক্ত ও বড় কিছু দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করা যাবে না। সর্বোচ্চ মেসওয়াক কিংবা টুথ ব্রাশ দিয়ে স্ত্রীকে মারা যাবে।
সাকাবির যুক্তি, স্বামী যখন স্ত্রীকে মারবেন, তখন এটা বোঝানোর জন্যই মারবেন যে স্বামীর সঙ্গে তিনি যে ব্যবহার করেছেন, তা ঠিক হয়নি।
খালেদ আল-সাকাবির এই বক্তব্য সৌদি আরবের সরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে ফেব্র“য়ারি মাসে। সরকারের অনুমোদন নিয়েই ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছিল।
বিষয়টি সম্প্রতি আমেরিকার মিডল-ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট সামনে এনেছে। সৌদি ফ্যামিলি থেরাপিস্টের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা সর্বত্র শুরু হয়েছে।