ডেস্ক রিপোর্ট : মোহাম্মাদ আজহারউদ্দিন ভারতীয় ক্রিকেটে একইসঙ্গে নন্দিত এবং নিন্দিত এক নাম। সম্প্রতি তার জীবনীভিত্তিক চলচিত্র ‘আজহার’ এর প্রমোশনাল কাজে ব্যস্ত তিনি। এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে ২০০০ সালে আজহারের ম্যাচ গড়াপেটার মতো বিতর্কিত বিষয়। যা কলঙ্কিত করেছিল হায়দ্রাবাদের এই ব্যাটসম্যানের ক্রিকেটিয় ক্যারিয়ার।
প্রমোশনাল কাজে এক ক্রিকেটীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আজহারউদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হওয়ার পরপরই সাবেক নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার পেসার ডার্ক ন্যানেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আজহারউদ্দিনের সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন ফিক্সার কেন এতটা সম্মান পাবেন।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ন্যানেস লেখেন, ‘স্বীকার করা একজন ফিক্সার ক্রিকেটীয় অনুষ্ঠানে কেন এতটা রাজকীয় সম্মান পাবেন? কিভাবে সম্ভব এটা?
ন্যানেসের এই টুইটের পর স্বাভাবিকভাবেই আজহারউদ্দিনের পক্ষ নিয়ে অনেকেই রিটুইট করেন। পরবর্তীতে ন্যানেস তার যুক্তি প্রমানের জন্য আজহারের নিষিদ্ধ হওয়ার কিছু খবরের লিংকও শেয়ার করেন।
যেমন একজন রিটুইট করে জানতে চায়, ‘তবে কেন কোর্ট আজহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়?’ প্রতিউত্তরে ন্যানেস লিংক শেয়ার করে লেখেন, ‘তিনি কখনওই নিরপরাধ ছিলেন না। বরং হাইকোর্ট তার শাস্তির অবৈধতা প্রমান করে তার নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে।’
রবি নামে একজন লেখেন, ‘আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের সম্মান করি। যান গিয়ে মুভি দেখে এরপর টুইট করেন। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর সেখানেই পাবেন।’ জবাবে ন্যানেস লেখেন, ‘আমার কাছে কোর্টের দলিল আছে। যদি তোমার মনে হয় তার নিজের পান্ডুলিপিতে বানানো ছবি সত্যি হয়, তবে তোমার সমস্যা আছে!’
জানিয়ে রাখা ভাল, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ২০০০ সালে ক্রিকেট থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। এরপর, ২০১২ সালে ভারতীয় হাইকোর্ট তার নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ঘোষণা করে। প্রিয়