সালমা পারভীন : রাজশাহীতে পদ্মার পাড়ে বাঁধের ওপর দখলদাররা গড়ে তুলেছে নানা ধরনের অবৈধ স্থাপনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শহররক্ষা বাঁধন অন্যদিকে নদীর পাড়ে ছুটে আশা বিনোদন প্রেমীরা সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আর দখলদাররা দায় চাপাচ্ছেন স্থানীয় বড়ভাইদের ওপরে। এ সব অবৈধ স্থাপনা বারবার নোটিশ করেও তোলা সম্ভব না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভাবছেন সমন্বিত উদ্যোগের কথা।
নগর জীবনের সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বিকেলে বিনোদনের জন্য অনেকেই আসেন পদ্মার পাড়ে। ২০১০ সালে পদ্মার পাড়কে কিছুটা পরিপাটি করে তোলে সিটি কর্পোরেশন। এরপরই নদীর বাঁধকে ঘিরে পাল্লা দিয়ে শুরু হয় দখলের হিড়িক।
বসার বেঞ্চ, হাঁটা চলার স্থান, এমনকি ফাঁকা স্থানেও গড়ে উঠেছে দখলদারদের নানা ব্যবসা। শহররক্ষা এ বাঁধে গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনাও। এতে ঘুরতে আসা নগরবাসীকে প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়।
দর্শণার্থীরা বলছেন, আমরা এখানে আসি গরমে একটু স্বস্থি পেতে কিন্তু এখানকার যে পরিবেশ তাতে এখানে বসার কোন উপায় নেই। এসব জায়গা তো বিনোদনের জন্য কিন্তু সেই বিনোদন তো হচ্ছেই না বরং এই জায়গা ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
দখলদাররা বলছেন, কোন প্রকার ক্ষতি না করেই বড় ভাইদের আশীর্বাদে এখানে আছেন তারা।
তবে রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রভাষক হোসেন মহিউদ্দিন বাঁধের ওপর এমন স্থাপনাকে বিপদজনক হিসেবেই দেখছেন।
অবশ্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযামুল আযিম ও রাজশাহী পানিউন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মুখলেসুর রহমান জানান, শিগগিরই বাঁধ ও নদীপাড়ের সৌন্দর্যের স্বার্থ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, রাজশাহী শহরের কোল ঘেঁষে ১৭ কিলোমিটার শহররক্ষা বাঁধে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে শতাধিক।
সময় টিভি থেকে নেয়া