আরিফুর রহমান : বেশ কয়েক বছর ধরে কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাড়ি সরবরাহ করে আসছে প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড। তবে এবারে কেবল সরকারি পর্যায়ে নয়, সব ধরণের ক্রেতা ধরার লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু করছে সংস্থাটি। এজন্য স্বল্প মুল্যে গাড়ি উৎপাদনের দিকে জোর দিচ্ছে প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ। তাই যোগাযোগ করা হচ্ছে বিশ্বের স্বল্প মুল্যের গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে। ভারতের পর সম্প্রতি চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে গাড়ি সংযোজনের চুক্তির করেছে তারা।
গেল কয়েক বছর ধরে জাপানের মিৎসুবিসি কোম্পানির দুটি মডেলের যন্ত্রাংশ এনে গাড়ি সংযোজন করে আসছে প্রগতি ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড। যার ক্রেতা মূলত সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
তবে এসব গাড়ি উচ্চ মুল্যের বলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই এবার স্বল্প মুল্যের গাড়ি সংযোজনের দিকে ঝুঁকছে সংস্থাটি। এজন্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ শুরু করেছে ভারতের মাহেন্দ্র কোম্পানির দুটি মডেলের জিপ।
এতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চায়না প্রতিষ্টানটি। বিসিআইসি চেয়ারম্যানের দাবি দেশের অর্থনীতি বিবেচনায় স্বল্প মুল্যের গাড়ি উৎপাদন বাড়াতে চায় তারা। লক্ষ্য সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা মেটানো।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটা শোরুম করতে চাচ্ছি যেখানে জাপানিজ গাড়ি থাকবে, চায়না গাড়ি থাকবে, ভারতের গাড়ি থাকবে। আমাদের যে ক্রেতা আসবে তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সে গাড়ি নিবে। আমরা পার্টিকে হারাতে চাই না। পার্টি চলে যাচ্ছে, আমার শুধু জাপানিজ গাড়ি আছে আর কোন কিছু নাই, কম খরচে কোন গাড়ি দিতে পারছি না। আমরা চাচ্ছি সব ধরনের পার্টিকে ধরে রাখতে’।
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্টানটি বছরে ৩টি মডেলের প্রায় ৯শ’ গাড়ি সংযোজন করে।
সূত্র: চ্যানেল ২৪.