সারীফা রিমু: কূটনৈতিক রাজনীতির হিসাব-নিকাশে পিছিয়ে পড়ছে বিএনপি। কেবল মোসাদের কাছে নয় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও নিজেদের অবস্থান পরীষ্কার করতে পারেনি দলটি। দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের ব্যর্থতাকেই দায়ি করছে বিশ্লেষকরা। যদিও ভিন্ন কথা বলছেন বিএনপির নীতি নির্ধারকরা।
যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও মোসাদ কানেকশনের অভিযোগে এখন চাপে রয়েছে বিএনপি। এই ইস্যুতে চির ধরতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্কেরও। অবশ্য বিএনপি দাবি করছে আসলাম ও মোসাদের বিষয়টি ব্যাক্তিগত এতে দলের কোনো দায় নেই।
শুধু মোসাদ ইস্যু নয় কূটনীতিতে আরো বড় ধাক্কা খেয়েছে দলটি। চেষ্টা করেও কুয়েতের আমীর বা যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বৈঠক করতে পারেনি তারা।
সাবেক কূটনীতিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা ব্যর্থ হয়েছি সেটা আমি বলব না মোটেও । কুয়েত,যুক্তরাষ্ট্র বা ভারত থেকে যারা এসেছিলো তাদের সাথে বিএনপির কোনো আলোচনা হয়নি সত্য। তবে বিএনপির তরফ থেকে কোনো চেষ্টাও করা হয়নি আলোচনার।
এনাম আহমেদ চৌধুরীর দাবি নানা সরকারি চাপের প্রভাব পড়েছে কূটনৈতিক উইংয়ের উপর।
পদত্যাগ করেছেন সমশের মুবিন চৌধুরী । হামলার পর নিষ্ক্রয় রিয়াজ রহমান , গ্রেফতার হয়েছে সাংবাদিক শফিক রেহমান। যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ এনে কোনঠাসা করা হচ্ছে ড.উসমান ফারুককে। এখন কূটনৈতিক দেন-দরবার চলছে আব্দুল মঈন খান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, সাদিউদ্দিনের নেতৃত্বে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন,রাজনীতি মানেই এক ধরণের প্রতিদ্বন্দ্বি। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা মনে রেখেই রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে যেতে হবে।
সাবেক এই কূটনীতিকের মতে বিএনপিকে এখন এগুতে হলে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে।
যমুনা টিভি