সাজ্জাদুল হক : বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকেই কাছে পাননি। হত্যাকরা হয়েছিলো তার পরিবারের সবাইকে। এরপরে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি। তার ওপর হামলা। এমন অবস্থা সত্ত্বেও বাঙালি জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়াবার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, জতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেশের সীমানা নির্ধারিত ছিলনা, ছিলনা সমুদ্রসীমা। বঙ্গবন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সীমানা চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু কোনো সরকার তা বাস্তবায়ন করেননি। আমরা একটি ভাসমান দেশে ছিলাম। শেখ হাসিনা সেই দেশকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন। মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়ন করেছেন। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত-মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা আদায় করে বাংলাদেশের পরিপূর্ণ রুপরেখা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো শেখ হাসিনা সমাপ্ত করছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন পৃথিবীর বুকে বাঙালি জাতি একদিন মর্যাদাশীল, সম্মানী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আজ শেখ হাসিনার কাজ-কর্মের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানী জাতি।