আরিফুর রহমান: উৎপাদন খরচের চেয়ে ধানের মুল্য কম হওয়ায় এবং সরকারি ক্রয়মুল্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে ঠাকুরগাঁয়ের কৃষকরা রাস্তায় ধান ফেলে বিক্ষোভ করেছেন। সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি ধানহাটিতে ঢাকা-ঠাকুরগাঁ মহাসড়কে মঙ্গলবার কৃষকরা উৎপাদিত ধান ফেলে দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া কৃষক আমানুল্লাহ আমান বলেন, সরকার প্রতি কেজি ধানের দর দিছে ২৩ টাকা। কিন্তু আমরা বাজারে ধান বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৮ থেকে ৯ টাকা। সরকার মিলারদেরকে কতদিন সময় দিয়েছে সেটাও আমরা জানি না। সরকারি দামের সাথে বাজারে কেন এত পার্থক্য, কেন সিন্ডিকেট হয় সেটা সরকার বলতে পারবে আমরা বলতে পারব না।
ধান সরকারি খাদ্য গুদামে সরাসরি বিক্রি করা যায় কিনা এ প্রসঙ্গে আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমরা সরাসরি খাদ্যগুদামে কৃষকরা ধান দিতে চাইলে তারা ধান ক্রয় করে না। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পার্টির কাছ থেকে ধান ক্রয় করে। প্রতি বিঘা ধানে খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু ধান বিক্রি করে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, আমাদের পরিবার নিয়ে যাব কোথায়?
সরকারি গুদামে সরাসরি ধান বিক্রি করতে না পারার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কমকর্তা বা খাদ্য কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমানুল্লাহ আমান বলেন, তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি না। পেটের ক্ষুধা, বস্ত্র নাই, কামলা খরচ মিটানোর জন্য সবাই কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। না বিক্রি করলে আমরা খাব কি?
আমানুল্লাহ আমান আরও বলেন, আমরা এ বছর ধানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমরা ঠাকুরগাঁয়ের যেখানে আছি সেখানে ধান ছাড়া অন্য কোন ফসল তেমন হয় না। আলু, ভুট্টা যেটা হয় সেটা ধরা যাবে না। আমাদের প্রধান শস্য ধান। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি, আমরা যেন কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম পাই। নাহলে আমাদের বাঁচার উপায় নাই। সূত্র: বিবিসি বাংলা.