সাজ্জাদুল হক : খননের অভাবে বছরের পর বছর বর্জ্য ও পলি জমে নাব্য সংকটে চাপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদী। এক সময় ছোট-বড় নৌযান চললেও, সে পথ এখন নেই বললেই চলে। আগের মত মাছও নেই। ফলে, নদীকে ঘিরে যাদের জীবিকা তাদের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী রক্ষায় এখন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, তা প্রভাব ফেলবে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্রে।
দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি নদী না ফসলের মাঠ। এক সময়ের ভরা মহানন্দা এখন যেন ধুধু বালুচর। পলি জমে গভীরতা হারিয়ে নদীর বিভিন্ন জায়গায় জমেছে চর। কমে গেছে পানিপ্রবাহ। নদীর বুকে এখন নিয়মিত চাষ হচ্ছে ধান, গম, সরিষাসহ নানা ফসল। অথচ এই নদীতেই একসময় চলতো পালতোলা নৌকা। পাওয়া যেত নানান রকম মাছ। কিন্তু, সেসব আজ শুধুই ইতিহাস। কিছুদিন আগেও, শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি ছিল ১০ থেকে ১৫ ফুট। আর এখন সেখানে হাটু পানি। তাই, মহানন্দার প্রাণ ফিরিয়ে আনার দাবি সচেতন মহলের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীটি রক্ষায় যদি সরকার উদ্যোগী না হয়, তাহলে হুমকীর মুখে পড়বে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র, পরিবেশ ও কৃষি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, নদীর নাব্য সংকট দূর করতে ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হবে নদী খননের কাজ। পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে রাবার ড্যাম।
স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ বালু উত্তোলন ও দখল উচ্ছেদ আর দূষণমুক্ত করে, দ্রুত ফিরে আনা হোক মহানন্দার হারানো অতীত। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর