আরিফুর রহমান : ভৌগলিক কারণে জলোচ্ছাসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল। প্রতিবছর নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যানমালের ক্ষতির সম্মুখীন পড়ছে উপকূলের মানুষ। কিন্তু এর জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। বেশিরভাগ আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থা নাজুক। অনেক আশ্রয়কেন্দ্র আবার স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, কলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলার মোট ১০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রের ৫ টি এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যগুলোর বেশিরভাগের অবকাঠামো দুর্বল, অনেকটাই বসবাসের অনউপযোগী।
পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রের অভাবে ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসসহ যেকোন দুর্যোগে মানুষকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলে, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে অল্প কিছু পরিবার আশ্রয় নিতে পারে। বাকি পরিবার খুব আতঙ্কে থাকে। তারা কোথায় যাবে, কি করবে তাদের কোন অবস্থান নাই।
লক্ষ্মীপুর জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্র প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। এজন্য আরও আশ্রয়কেন্দ্র হওয়া দরকার। একটি বেসরকারি সংস্থা ২৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রতি দিয়েছে, যেগুলো অচিরেই নির্মাণ হয়ে যাবে’।
দেশে ঘুর্ণিঝড় প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী অন্যতম। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র অনেক কম। যা আছে সেগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক।
নোয়াখালী জেলার ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলায় ২শ’ ৫০ টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেরামতের প্রয়োজন ছিল যা তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করেছি, বাকি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মেরামতের কাজ চলছে’।
কক্সবাজারে অধিকাংশ সাইক্লোন শেল্টার ভবনই এখন অবৈধ দখলে। দুর্যোগের সময় এসব আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, ‘গ্রীষ্মকালে অনেক সময় সাইক্লোন সেন্টার ব্যবহার হয় না। তখন হয়তোবা কিছু লোক সেটা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু এটা সব জায়গায় না। যেগুলো নিয়ে অভিযোগ আছে সেগুলো নিয়ে আমরা খুব তৎপর’।
নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পুরনোগুলোকে দখলমুক্ত ও সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করে তোলার দাবি দুর্যোগ প্রবণ এলাকার বাসীন্দাদের।
সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি থেকে নেয়া