গাজী মিরান : দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান বলেছেন, নতুন করে ‘ডিপিআই’ আইন কতখানি গণশুনানির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই বিষয় আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ, অতীতে দেখেছি সরকার তাঁদের নিজেদের মত করেই আইন প্রণয়ন করেন।
গত মঙ্গলবার ইন্ডেপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে তথ্য-প্রযুক্তিকে সবসময়ে কৃত্রিমভাবে, খুব জটিল বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা কোনো ভাবেই সঠিক নয়। তার প্রমাণ নারায়ণগঞ্জের ঘটনাসহ অরও বিভিন্ন ঘটনা। তাই আমি বলব যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ সেখানে প্রযুক্তির কোন ধরণের অপব্যবহার হয়না বা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে প্রযুক্তির আইন বিষয়ে আমার দুইটি প্রশ্ন জানার আছে। প্রথমত, ইউটিউব, স্কাইপে ইত্যাদি বিষয়গুলো সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে কি না? দ্বিতীয়ত, সরকারের কাছে বহু আগে (আই টি ইউ) এর মাধ্যমে একটা লিখিত দলিল দেয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ আছে মোবাইল পরিচালনাকারীর সরকারকে রাজস্ব প্রদান করবেন ৩০ শতাংশ আর কন্টেন্ট প্রোভাইডকারীদের ক্ষেত্রে তা হবে ৭০ শতাংশ। এই বিষয়ে কোন পরিষ্কার নীতিমালা সরকার এখন পর্যন্ত দিতে পারছে না কেন? যেখানে টাকার বিষয় জড়িত সেখানে এই অস্বচ্ছতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের খুব দ্রুত উত্তরণ প্রয়োজন। সরকার যাতে পরিচালনাকারীর হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে না দেয়। তাই সমস্ত বিষয়গুলো জনগণের কাছে পরিষ্কার করতে হবে, কোন অপরিষ্কার কিছু রাখা যাবে না।
সরকারের মোবাইলে আড়ি পাতা আইনের বাস্তবায়ন বিষয়ে অপনার অভিমত কী?
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমাদের আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। প্রথমত টেলিফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে যে আইন রয়েছে সেই আইনটিকে নিয়মের অওতায় আনতে হবে। যা সরকার কোনদিনই করেনি।
আবু সাইদ খান বলেন, টেলিফোনে কিভাবে আড়ি পাতা হবে সেই বিষয়ে যদি একটা ভাল মানের নিয়ম করা হয় তাহলে জনগণের কাছে পরিষ্কার থাকবে। যা না থাকার ফলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনেকেই এটা অপব্যবহার করেন এবং তাদেরকে এই অপব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে। যার দায়ভার সরকারেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, টেলিফোনে আড়ি পাতা সরকারের অধিকার আছে। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় আড়ি পাতবেন সেই বিষয়টা আইনে পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে হবে।