গাজী মিরান : বিএনপি ইসরাইলের মত একটা গণ বিকৃত রাষ্ট্রকে সাথে নিয়ে সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা চালানো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সরকার সরকার উৎখাত করা কি এতই সোজা? এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মোফাজ্জল করিম।
বুধবারে আরটিভির ‘গোলটেবিল’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে সরকার উৎখাত করা কি এতই সোজা? আর যদি বিএনপি তাই করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ কে জিজ্ঞেস না করে কেন ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক করতে গেলেন? এবং বিএনপির মত বিচক্ষণ একটা দল তাঁর মত একজন অজ্ঞ এবং অচেনা মানুষকে এত বড় গুরুদায়িত্ব দিতে গেলেন কেন?
মোফাজ্জল করিম বলেন, আমি এই প্রথম দেখলাম যে উৎখাত করার জন্য সেমিনার করা হয় এবং ফেইসবুকে ঘোষণা করে ষড়যন্ত্র করা যায়। এমন ঘটনা আমার কাছে মনে হচ্ছে যে ষড়যন্ত্রের নতুন মডেল। এটাকে আসলে কি বলা যায় আমি তা জানি না। তবে আমার প্রশ্ন হলো এমন কর্মকা-কে বলা হয় ‘নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা’ বা নিজেদের সঙ্গে নিজেদের পাগলামি করা। কারণ, সাফাতি যে ভাল চরিত্রের মানুষ না তা আমরা সবাই জানি। এটা জেনেও তার সাথে হাত মেলানোটা আমার কাছে মনে হচ্ছে আসলাম চৌধুরীর নিজের কারিশমা দেখানো। তিনি দেখাতে চান যে, আমি একটা কিছু করে আসছি বা করতে যাচ্ছি। কিন্তু তার এইটুকু বোধ নেই যে সে কি করে এসেছে।
মোফাজ্জল করিম বলেন, আমার কাছে আরেকটা বিষয় সন্দেহজনক মনে হয়। সেটি হচ্ছে, ষড়যন্ত্র সাধারণত দুই পক্ষ মিলে হয়। কিন্তু আমরা শুধু মাত্র বিএনপির কথাই বলছি। কিন্তু ইসরাইলের পক্ষ থেকে এই তথ্যের কোনো হ্যাঁ সুলভ জবাব পাওয়া যায়নি। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে, তাও আবার ভারতে বসে। তাই আমার কাছে সন্দেহের বিষয়টা হচ্ছে যে, আমরা জানি ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক আছে। তাই ভারত কি ইসরাইলকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যবহার করতে চাচ্ছে?
একই প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতি বিশ্লেষক এম জমির বলেন, আমরা জানি যে যুদ্ধাপরাধীর বিচাররের ব্যাপারে প্রচুর অর্থ খরচ করা হয়েছে এবং লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। যাতে লবিস্টরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারকে অন্তর্জাতিকভাবে অনাস্থা সৃষ্টি করে। এমন কী বিচারের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের টাকা দিয়ে আর্টিকেল লেখানও হয়েছিল। যেগুলো বিভিন্ন পত্রিকায়া ছাপানও হয়েছিল।