ইমরুল শাহেদ : একটি চরিত্রের বহুমাত্রিকতা একজন অভিনয় শিল্পীকে নিয়ন্ত্রণ করে নাকি একটি বহুমাত্রিক চরিত্র শিল্পীর অভিনয় গুণেই বহুমাত্রিকতা লাভ করে। শিল্পাঙ্গনে এই নিয়ে অতীতে যেমন বিস্তর বিতর্ক হয়েছে, তেমনি এখনও সে বিতর্ক অতীত হয়ে যায়নি। কারণ সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সানজিদা তন্ময় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা খ্যাত পরিচালক এম সাখাওয়াত হোসেনের কাপুরুষ ধারাবাহিক নাটকে তিনটি ভিন্ন চরিত্র অর্থাৎ একটি বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার বিপরীতে রয়েছেন রাইফেল মফিজ ধারাবাহিকের আলোচিত নায়ক শহিদ আলমগীর। একই অঙ্গে অনেক রুপের এক ভাগে রয়েছে গ্রামের একটি মেয়ে, এরপর সেই মেয়েটিই আবার শহরের অত্যাধুনিকা এবং শেষটি হলো একজন সিলেটী ললনা। ঘাসফড়িং প্রযোজিত এই ধারাবাহিকটি সম্পর্কে অভিনেত্রী সানজিদা তন্ময় বলেন, তিনি তিনটি ভিন্ন মাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে দারুণ খুশি।
তিনি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই গ্রামীণ পটভূমির চরিত্রটির কাজ শেষ করেছি। বাকি দুটি চরিত্রের শুটিং শুরু হবে অচিরেই।’ এর আগে ইমদাদুল হক মিলন রচিত যুবরাজ নাটকে শমি কায়সার তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
তার বিপরীতে ছিলেন তৌকির আহমেদ। শমি কায়সারের দেশীয় নাট্যাঙ্গনে তিনটি চরিত্রের দ্বিতীয় নায়িকা হলেন সানজিদা তন্ময়। এই ধারাবাহিকের গল্প সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নাট্যকার পরিচালক এম সাখাওয়াৎ হোসেন বললেন, কাপুরুষ তার ভাল লেখাগুলোর মধ্যে একটি। খানিকটা স্বপ্নের নাটক কাপুরুষ। তাই এটি নির্মাণে তিনি কোন আপোষ করছেন না। তিনি আরো বলেন, গল্প অনুযায়ী নাটকটি চিত্রায়িত হলে কাপুরুষ হবে এসময়ের সেরা আলোচিত ধারাবাহিক।
এতে আরো যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেন, নাদের চৌধুরী, অরুনা বিশ্বাস, দিলারা জামান, মাসুম আজিজ, দোলন দে, রফিকুল্লা সেলিম, ম.আ. সালাম, আশরাফ কবির, হাসিমুন প্রমূখ। সানজিদার সহশিল্পী শহিদ আলমগীর বলেন, ‘সে অত্যন্ত পরিশ্রমী একজন শিল্পী। ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠেই নিজের মেকআপ নিজেই নিতে শুরু করে। কাজের প্রতি তার এই নিষ্ঠা তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’