সজল সরকার : লন্ডনে প্রথমবারের মত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মুসলিম নাগরিক সাদিক খান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে বিশ্বে আলোচনা ঝড় উঠেছে। যে শহরের ভোটাররাই তাকে বেছে নিয়েছে সে শহরের মিডিয়াও তাকে ছেড়ে কথা বলছে না। নির্বাচনের পরে প্রতিনিয়তিই সাদিক খানের পরিবার, অতীত ও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে নানান প্রসঙ্গ থাকছে পত্রিকার পাতাজুড়ে।
লন্ডন ইভিনিং স্টান্ডার্ড নামের এক সংবাদপত্র তার প্রথম পাতায় বড় করে লন্ডন শহর বোমায় কেঁপে ওঠার ছবি দিয়েছে যেখানে সাদিক খানকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহ করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে আরেক জনপ্রিয় ব্রিটিশ মিডিয়া ডেইলি মিরর সাদিক খানের জয়কে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে আখ্যায়িত করে লন্ডন যে বহু সংস্কৃতির শহর তা নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্টই করেছে, তবে সঙ্গে খোঁচাও দিয়েছে এ নির্বাচন ভোটারদের রুচি পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে।
লন্ডর নির্বাচনে লেবার পার্টির সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দী ছিলেন কনসারভেটিভ পার্টির জ্যাক গল্ডস্মিথ। সবাইকে অবাক করে ১৩ লাখের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সাদিক খান। তবে নির্বাচনের পর থেকে অনেক সংবাদ মাধ্যমই যেন মানতে পারছে না একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলিম নেতা লন্ডনের মেয়র হওয়ার ঘটনাটি। ডেইলি অবজারভার-এ সাদিক খানের মন্তব্য প্রকাশ করা হয় যেখানে তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ও প্রতিদ্বন্দী গোল্ডস্মিথ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান-এ উল্লেখ করা হয় ‘একজন মুসলিম নেতা নির্বাচিত হওয়া মানেই লন্ডন থেকে ইসলামি জঙ্গিবাদের ভীতি দূর হওয়া নয়’।