সারীফা রিমু: বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। ঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে ঊপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেসবাহউদ্দিন জানান, ঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোয় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করার পর তারা আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নিজেরা মাঠে মাঠে ঘুরে সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার বিষয়াদি তদারকি করছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুদ রয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং স্বেচ্ছাসেবীরাও এ কাজে সহায়তা করছে। একই ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী সহ অন্য উপকূলীয় জেলাগুলোতেও। কক্সবাজার নিয়োগ করা হয়েছে ৬ হাজার ২শ ১৫ উদ্ধারকর্মী।
শুক্রবার বিকাল থেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাব পড়েছে মংলা সমুদ্রবন্দরেও। খোলা হয়েছে আলাদা আলাদা কন্ট্রোল রুম। আটাট মেডিকেল টিম। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য,সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্রগ্রাম থেকে ৩৯০, কক্সবাজার থেকে ৩৭৫ ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচেছ। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রাম, পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর ‘বিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত সংকেত।
যমুনা টিভি,সময় টিভি