জাফর আহমদ: শ্রম পরিস্থিতির ক্রম অবনতির জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়কে দায়ি করেছে সমমনা কয়েকটি গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠন। তারা বলেন, প্রাপ্ত বেতনে শ্রমিকদের না চললেও শ্রমিকরা মালিকদের নির্যাতনের মুখে কথা কথা বলতে পারছে না। কতিপয় আমলার প্রচ্ছন্ন সহায়তা বা তাদের উৎসাহে কতিপয় মালিক অবাধে শ্রম আইন লংঘন করে চলেছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখে তৌহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আলমগীর রনী, মাহাতাব উদ্দিন শহীদ, বজলুর রহমান, তাহামিনা এবং আব্দুল মালেক।
বক্তারা বলেন, শ্রমিকরা এখন যে বেতন পাচ্ছেন না দিয়ে ১৫দিনের বেশি চলে না। এখন বাজারের কয়েকদিনে বাজারমূল্য পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য বেশি। চাল, ডাল, সবজি, তেল-লবন, চিনি, ছোলা, ডাল পেঁয়াজসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। শবে বরাতকে সামনে করে কিচু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়িয়েছে। তারপর রোজা উপলক্ষ্যে আরো বাড়াবে। তখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এমনিতেই শ্রমিকদের সংসার চলছিল না। দাম বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকদের মরার উপর খাড়ার ঘা পড়েছে। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি আরো খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়বে। আর মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা এ পরিস্থিতিকে আরো প্রলম্বিত করবে। এ জন্য নতুন করে মজুরি বোর্ড গঠন করার আগ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। যাতে করে শ্রমিকরা স্বাভাবিক জীবন যাপন ধরে রাখতে পারে।
বক্তারা বলেন, সরকার মালিকদের জন্য নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা, কম সুদের ঋণ, রাজস্ব মওকুফ সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু শ্রমিকদের জীবনমানের অবনতি হলে মালিকরা কোন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। বরং বিভিন্ন সময়ে যে বেতন বাড়িয়েছে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সে টাকা তুলে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় শ্রমিকদের জন্য ডর্মেটরির নির্মাণের দাবি জানান।
তারা বলেন, মালিকরা শ্রম ঘন্টার ব্যাপারে আইন না মানা, লক্ষ্যমাত্রার পূরণ না হওয়ায় ছাঁটাই ও শারীরিক নির্য়াতন, এক মাসের বেতন পরের মাসে ২০/২৫ তারিখে প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ করানো, ট্রেড ইউনিয়ন করতে সংগঠিত ও যৌক্তিক প্রতিবাদ করলে চাকুরিচ্যুতি ও হামলা-মামলা পোশাক খাতে একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। এ সব কারণে পোশাক খাতের শ্রম পরিবেশ উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে অবনতি হচ্ছে। বক্তার্ াবলেন কতিপয় আমলার উৎসায়ে গার্মেন্টস মালিকরা অবাথে এভাবে শ্রম আইন লংঘন করে চলেছে।