সালমা পারভীন : প্রচারণার দিক দিয়ে দেশিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর তুলনায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পর্যটন মেলায় প্রাধান্য পেয়েছে বিদেশি স্পটগুলো। দর্শনার্থীদের অভিযোগ, সরকারের পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায়িদের সদিচ্ছার অভাবেই বিকাশ লাভ করছে না দেশিয় শিল্প। তবে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা আর অনুন্নত অবকাঠামোর কারণেই দেশিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর প্রতি আকর্ষণ কম বলে মনে করছেন ব্যবসায়িরা।
টানা কর্মব্যস্ততা, আর একঘেয়ে নগরজীবনে কিছুটা প্রশান্তির জন্যই অবসর সময়ে সবাই খোঁজেন বেড়াতে যাওয়ার রাস্তা। আর এ চাহিদা পূরণে প্রাকৃতিকভাবেই দেশের ৬৪টি জেলায় গড়ে উঠেছে অন্তত শ’খানেক দর্শনীয় স্থান। এর সঙ্গে রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা আরো অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু কিছু সংখ্যক দেশিয় পর্যটক ছাড়া অধিকাংশ স্থানেই আগমন ঘটেনা বিদেশি পর্যটকদের।
এমন প্রেক্ষাপটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন তিন দিনের পর্যটন মেলার। দেশিয় ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যেখানে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান। মেলায় ভিসা, বিমান টিকেট, সড়ক পরিবহন, হোটেল মোটেল বুকিং ছাড়াও দেয়া হচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা। যদিও তার অধিকাংশই বিদেশি পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঘিরেই।
তবে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের সঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বিনোদন মাধ্যমের সীমাবদ্ধতার কারণেই দেশিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো নজর কাড়তে পারছে না বলেই মত ব্যবসায়িদের। পাশাপাশি, এ খাতের উন্নয়ন আর অগ্রগতির জন্য জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬’তে পর্যটন শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। -সময় টিভি