আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘসহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী বড়দিনের আগেই আফ্রিকার পাঁচ কোটি মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যের প্রয়োজন হবে। এল নিনো’র প্রভাবে পুরো আফ্রিকা মহাদেশের ফসল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় তারা।
দক্ষিণ এবং পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে দ্বিতীয় বছরের মতো তীব্র খরা চলতে থাকায় ওই অঞ্চলের দেশগুলোর ফসলের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, সেই সঙ্গে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ওই অঞ্চলের ৩১ কোটি মানুষের এখনই খাদ্য সহায়তা দরকার এবং আরো ২০ কোটি মানুষের চলতি বছরের মধ্যেই তা প্রয়োজন হবে।
উল্লেখ্য, এল নিনো হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগের পানির তাপমাত্রার একটি নিরবচ্ছিন্ন পরিবর্তন। পূর্ব-মধ্য গ্রীষ্মম-লীয় শান্ত সমুদ্রের পানির গড়পড়তা তাপমাত্রায় যখন কমপক্ষে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস-বৃদ্ধি হয় তখনকার পরিস্থিতিকে এল নিনো বলে বিবেচনা করা হয়। দুই থেকে সাত বছর পরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
২০১৫ সালকে উষ্ণতম বছরে পরিণত করতে ভূমিকা রেখেছে এই এল নিনো। এ বছরে প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা এবং উত্তর গোলার্ধের ভয়াবহ উষ্ণতাও এল নিনোরই ফল।
জাতিসংঘের মতে, ইথিওপিয়ায় আরো এক কোটি, দক্ষিণ সুদানে ৬০ লাখ এবং ইয়েমেনে ৫০ লাখ মানুষ খরা এবং বন্যার কারণে সৃষ্ট অনাহারে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানায়, ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এল নিনো আগামী মাসে শেষ হতে চলেছে। তবে তার প্রভাব আরো বেশ কয়েক মাস ধরে থাকবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান স্টিফেন ও ব্রায়ান বলেন, ‘এল নিনোর সম্মিলিত প্রভাব বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। অথচ বিষয়টির দিকে কোনো নজরই দেয়া হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আফ্রিকার পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে ১০ লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার।’ বাংলামেইল