কালাম আজাদ : গৃহায়ন খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সার্বিক বিষয় চূড়ান্তের পরও ফান্ডটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহৃত হবে বলে সরকার এটি থেকে পেছনে ফিরে আসছে। অপরদিকে গৃহায়ন খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এখনও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয় বলে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও অর্থ উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। সবমিলিয়ে গৃহায়ন খাতের মন্দাবস্থা দূরীকরণের পথ আসলে কি হবে, সেটাই জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
গৃহায়ন খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠনে নানা অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য প্রদান করে এলেও এ বিষয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমার মতে, গৃহায়ন খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন উচিত হবে না।’ এর পেছনে সরকারি অনেক ফান্ডের ঋণের অর্থ ফিরে না আসার কারণ দেখান তিনি।
একই বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমদানি-রফতানি ও স্বল্প মেয়াদি বিষয়গুলোতে ব্যাংকঋণ যুক্তিযুক্ত। দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকের বিনিয়োগ ভালো নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ ও বর্তমান মন্দাবস্থা কাটানোর প্রয়োজনে বড় অংকের ফান্ড প্রয়োজন বলেই মন্তব্য করেন রিহ্যাব (রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি সাইফুল শামসুল আল-আমিন।
জানা গেছে, গৃহায়ন খাতের মন্দাভাব দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত ওই প্রস্তাব সম্পর্কে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়। কিন্তু সবশেষে এ বিষয়ে কোনও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে ঝুলেই রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব। এ বিষয়ে অদূর ভবিষ্যতে সরকারি সিদ্ধান্তের (ফান্ড না গঠনের বিষয়টি) কথা রিহ্যাবকে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।