ডেস্ক রিপোর্ট : আর আউট সোর্সিং নয়, এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ি চালকসহ ৬ হাজার ৫৫টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৯টি নতুন পদ।
এসব পদে নিয়োগের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পেয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। নিয়োগের জন্য অর্গানোগ্রাম প্রস্তুুত করা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী নতুন যারা নিয়োগ পাবে তাদের চুক্তিভিত্তিক বা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার কথা। তবে মন্ত্রণালয় চাইছে আর আউট সোসিং বা চুক্তিভিত্তিক নয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তুবায়িত হলে কয়েক হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে বলে সংসদীয় কমিটির কাছে অভিমত প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের চতুর্থ এবং তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ি চালকের পদগুলো আউট সোসিংয়ের আওতা বহির্ভুত করার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি নোট সার সংক্ষেপ পাঠিয়েছেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রণালয় বরাবর একটি চাহিদা পত্র (ডিও) দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রণালয়ের অভিমত পেলেই নতুন ৫ হাজার ৪৯৯ টিসহ মোট ৬ হাজার ৫৫ জন গাড়ি চালক সরাসরি নিয়োগ দেবে মন্ত্রণালয়।
আউট সোসিং লোক নিয়ে গ্রামগঞ্জে পাউবো’র স্ট্রাকচারগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া যাচ্ছে না বলে সংসদীয় কমিটি নোট দেয় মন্ত্রণালয়কে। এর ভিত্তিতেই আউট সোসিং বাদ দিয়ে সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন জানান, গ্রামগঞ্জে পাউবো কর্তৃক নির্মিত স্ট্রাকচারগুলোর নিরাপত্তার জন্য নিডবেস সেটআপ খুবই দরকার এবং ওইগুলোর নিরাপত্তা আউট সোর্সিং জনবল দিয়ে যে সম্ভব নয়- সেটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে বুঝাতে হবে।
গত ১৯ মে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৯তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য এ কে এম ফজলুল হক জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনেক জনবল দরকার। এই মুহুর্তে জনবল সংকটের হার অনেক। তাই মন্ত্রণালয় একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করেছে, এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে সেগুলো নিয়ে আগাবে মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এতদিন চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীতে বেশির ভাগই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হতো এর ফলে অনেককেই সময় মতো পাওয়া যেত না। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি বাড়াতে চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে সরাসরি নিয়োগ দেওয়াটাই মনে হয় উত্তম হবে।