ফারুক আলম : পায়রা বন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী ১০টি নৌপথে নাব্য সংকট দূর করতে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার। নদীতে চর জেগে উঠায় বন্দরে পণ্য পরিবহণে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুতই যাতে নৌপথ এ সমস্যা দূর হয় সেজন্য নদী ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর মিন্টু রোডস্থ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বাসভবনে বেলজিয়ামের একটি প্রতিষ্ঠান ‘জান ডি নুল’ সাথে সম্মঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান ও বেলজিয়ামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘জান ডি নুল’ এর পক্ষে রিজিউন্যাল ম্যানেজার ড্যানী ডি হার্ট সমঝোতা স্বারকে সই করেন।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, সমঝোতা স্বারক একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পায়রা বন্দর। এই বন্দর ও পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে গতিশীল করবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃশনশীল কূটনৈতিক তৎপরতা ও নেতৃত্বে আমরা বিস্তীর্ণ সাগরের ওপর একচ্ছত্র মালিকানা অর্জন করেছি। এখন সময় অফুরান এই সমুদ্র সম্পদ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও বেগবান করে তোলা।
মন্ত্রী আরো বলেন, পায়রা বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের নৌ-বাণিজ্য আরো প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। এখানে থাকবে একটি আধুনিক মানের কয়লা টার্মিনাল এবং এই টার্মিনালের মাধ্যমে খালাসকৃত কয়লা থেকে কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক পাওয়া প্ল্যান্টের মাধ্যমে ৬ হাজার ৩৪০ মেঘাওয়াট বিদ্রুৎ উৎপাদন হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় নৌসচিব অশোক মধাব রায়সহ নৌপরিবহন মন্ত্রানালয়ের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।