জাহিদ হাসান : এটাও কী সম্ভব? রাজধানী ঢাকাতে ৩০ টাকার বিনিময়ে হোটেলে রাত্রী যাপন। এটি আপনার কাছে অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এ ধরনের প্রায় চারটি ভাসমান হোটেল রয়েছে। যেখানে সত্যিই ৩০ টাকার বিনিময়ে রাত্রিযাপন করা যায়।
প্রায় ছয় দশক ধরে এ হোটেলগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বড় আকারের কিছু লঞ্চে এ ধরনের হোটেরগুলো পরিচারিত হয়ে আসছে। লঞ্চের ঢেকে বিছানা বিছিয়ে ৩০ টাকার বিনিময়ে রাতযাপন করতে দেওয়া হয়। তবে এ লঞ্চগুলোতে ছোট ছোট কেবিনও রয়েছে যেগুলো ৮০ থেকে ৮৫ টাকার বিনিময়ে রাত্রিযাপনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়।
তেমনই ফরিদপুর মুসলিম হোটেলের মালিক মোস্তফা মিয়া বলেন, এখানে খুবই নি¤œ আয়ের মানুষ আসে। যারা স্বল্প টাকার বিনিময়ে রাত্রিযাপন করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখানে রাত কাটায়। তবে এদের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ীও আছেন যারা অনেক বছর ধরে এই হোটেলগুলোতেই থাকেন। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই হোটেলে থাকা শরিয়তপুরের সিরাজ মাতব্বর তিনি পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। এ রকম সিরাজ মাতব্বরের মতো প্রায় ১৫ জন ব্যবসায়ী যারা কেউ পাঁচ বছর আবার কেউ ২০ বছর ধরে এখানেই থাকছেন।
সিরাজ মাতব্বর আরো বলেন, আমি স্বাধীনতার আগে ঢাকায় আসি। আসার পর থেকেই আমি এই হোটেলে উঠি এবং এখানে থাকতে খুবই সস্তা তাই আমি অন্য জায়গায় যায়নি। তিনি বলেন, ঢাকায় থাকার জন্য এটাই আমার জন্য যথোপযুক্ত জায়গা।
এই হোটেলগুলো স্বাধীনতার আগে প্রথমে হিন্দু ব্যবসাসীয়দের জন্য চালু করা হয়েছিল। যখন নদী পথে ব্যবসাবাণিজ্য হত। পরে এ সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা এখন পর্যন্ত পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার