সিলেটের সকাল রিপোর্ট॥ আরিফুল হক চৌধুরী ও জিকে গৌছের উপস্থিতিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মকবুল আহসানের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হবিগঞ্জের খুরশেদ আলী ও সেলিম হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় বৃহস্পতিবার। এ নিয়ে এ মামলায় ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো । আদালত আগামী ১ ও ২ জুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, বৃহস্পতিবার ঘটনার ২ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ নিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণকালে গ্রেফতার ১৪ আসামীর মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গৌছসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। অসুস্থতার কারণে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তার পক্ষে তার আইনজীবীরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত বছরের ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন।