ইমরুল শাহেদ: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ইমেইল আদান-প্রদানে পররাষ্ট্র দফতরের নীতিমালা মানেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে ইমেইল আদান-প্রদান এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অবহিত না করার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্র দফতরের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উপস্থাপিত পররাষ্ট্র দফতরের মহাপরিদর্শক স্টিভ লিনিকের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। আল জাজিরা, সিএনএন
প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করা হলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এরইমধ্যে তা হাতে পাওয়ার দাবি করেছে। ১৯৯৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত পররাষ্ট্র দফতরের আইনি রেকর্ড ও নীতিমালা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি তৈরির ক্ষেত্রে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে প্রার্থিতার দৌড়ে এগিয়ে থাকা হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ইমেইল আদান-প্রদান করেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে আদান-প্রদান করা ইমেইলগুলোতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েরও উল্লেখ ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা চাওয়ার পর হিলারির ইমেইল ইস্যু জোরালো হয়ে ওঠে। বিরোধীদের অভিযোগ, অনিরাপদ সিস্টেম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন হিলারি। তবে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের কথা স্বীকার করলেও হিলারির দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিলারি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিকরা খুব ঢিলেঢালাভাবে তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করেছেন এবং নতুন নতুন সাইবার নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির ব্যাপারে তারা খুব একটা তৎপর ছিলেন না। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হওয়ার সময় হিলারিকে অন্ততপক্ষে তার সব ইমেইল পররাষ্ট্র দফতরকে বুঝিয়ে দিতে হতো। যেহেতু তিনি এ কাজটি করেননি, সেক্ষেত্রে ফেডারেল রেকর্ডস অ্যাক্ট এর আওতায় পররাষ্ট্র দফতরের যে নীতিমালা রয়েছে তা তিনি মানেননি বলা যায়।’