মমিনুল ইসলাম: মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে জ্বালানি হিসেবে কেবল কয়লা ব্যবহার করা হবে। এ বিপুল পরিমাণ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে দেশের বাইরের কয়লার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সরকার।
বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সীমিত পরিমাণ কয়লা আমদানি করে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক কয়লা রপ্তানির দিকে গভীর নজর দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত কয়লা খনি প্রতিষ্ঠান কয়েল ইন্ডিয়ান লিমিটেড। এ লক্ষ্যে সরবরাহ চুক্তি করতে বাংলাদেশে এসেছেন প্রতিষ্ঠানটির একটি উর্ধ্বতন দল। তারা বাংলাদেশের পাওয়ার কেম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে জীবশ্ম জ্বালানি রপ্তানি করতে যাচ্ছে কয়েল ইন্ডিয়া।
ইকোনোমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতা ভিত্তিক ‘কয়েল ইন্ডিয়া’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভারত কুকিং কয়েল ও নর্থ ইস্টার্ন কয়েলফিল্ডস বাংলাদেশের পাওয়ার কোম্পানিগুলোতে কয়লা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। এ কয়লা পশ্চিমবঙ্গের হালদিয়া বন্দর হয়ে সমুদ্র পথে পরিবহন করার কথা রয়েছে।
কয়েল ইন্ডিয়ার এক কর্মকর্তা বলেন, কয়লা পরিবহনে আমরা অনেক সাশ্রয় করতে পারব। এর ফলে বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার চেয়েও সস্তায় কয়লা আমদানি করতে পারবে। এ দুই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কয়লা উচ্চ গুণসম্পন্ন। ইন্দোনেশিয়ার কয়লার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গত বছর পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির সরবরাহ কম ছিল। ফলে কয়লা রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। গত বছর এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কোম্পানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কয়লা উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে অতিরিক্ত মজুদও রয়েছে। তাই এখন আন্তর্জাতিক বাজারের সন্ধানে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৩-০৪ সালে ‘কয়েল ইন্ডিয়া’ নেপাল ও বাংলাদেশে কয়লা সরবরাহ করত। কিন্তু কয়লা স্বল্পতার কারণে এ সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল না। এসময় বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ টন ও নেপালের জন্য ৪০ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হত। এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। তাই এখন আমরা বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার দিকে নজর দিয়েছি।