জৈন্তাপুর প্রতিনিধি ॥ জৈন্তাপুরে জনতার হাতে আটক এক আসামীকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ৫ গ্রামের লোকজন শনিবার দুপুর ১২টায় সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন। এক ঘন্টা পর এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
জৈন্তাপুর উপজেলার গৌরীশংকর সহ এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমান ১টায় গৌরী শংঙ্কর গ্রামের নিজাম উদ্দিন, আব্দুস শুকুর ও বদর টেইলার্সের ঘওে চাপাতিসহ হামলা চালায় পশ্চিম গৌরীশংকর গ্রামের আলতাফুর রহমান ওরফে গোটা আলতাফের ছেলে জমির উদ্দিন (৩২)। এ সময় বাড়ীর লোকজনের চিৎকারের শুনো গ্রামবাসী এগিয়ে আসে ২টি চাপাতি সহ জমিরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাটের সহযোগিতায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে জমিরকে চাপাতি সহ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জমিরকে গ্রহণ করে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেটে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের কাছ হতে জমির পালিয়ে যায় বলে একটি সূত্র জানায়। এ এলাকাবাসীর অভিযোগ-পুলিশ জমিরকে ছেড়ে দিয়ে বলছে পালিয়ে গেছে। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকালে বিষয়টি জানতে চাইলে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই নাছির উদ্দিন মোবাইল ফোনে নবনির্বাচিত নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে তার অভিযোগ। এঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে ৫ পাঁচ গ্রামের পুরুষ মহিলা সহ জৈন্তাপুর মডেল থানা ঘেরাও করে এবং ‘দুনীর্তিবাজ’ এসআই নাসিরের প্রত্যাহার এবং ছিনতাইকারী জমিরকে গ্রেফতারের দাবী জানান। এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য নিজপাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান বাবুলসহ চেয়ারম্যান সম্রাট দেখা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু না বলে অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলার জন্য বলেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে থানার সম্মুখে দুপুর ১২টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে এবং টায়ারে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষোভ পালন করে। এলাকাবাসীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চেষ্টায় বেলা ১টায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এস.আই নাছিরকে জৈন্তাপুর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার এবং ছিনতাইকারী জমিরকে পুনরায় গ্রেফতার করার আহবান জানান। অন্যথায় ২৪ ঘন্টা পর সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীরা অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে এলাকাবাসী এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পুলিশের কাছে দেওয়া হবে বলে জানান ইউপি সদস্য মনসুর আহমদ।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী সম্রাট জানান- অভিযুক্ত জমিরের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে এই ধরণের ঘটনার দায়ে গ্রামবাসী তাদেও এলাকা ছাড়া করে। বর্তমানে তারা গৌরীশংঙ্কর গ্রামে বাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি তার কর্মকান্ড শুরু করে। ফলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।