সালমা পারভীন : একের পর এক হুমকির শিকার হচ্ছেন রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা। কখনও চিঠিত কখনো বা ফোনে দেয়া হচ্ছে হুমকি। এক বছরে অন্তত ৫০টি হুমকির ঘটনা ঘটলেও কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যসহ অন্তত ৩০ জন শিক্ষক বিভিন্নভাবে হুমকি পেয়েছেন। এতে আতঙ্কে আছেন শিক্ষকরা। এখানকার শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে মনে করেন এখানকার শিক্ষকরা।
রাজশাহী শহরের অনেক বিশিষ্টজনের কাছে মোবাইল ফোনে বা চিঠি পাঠিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের নামে চাঁদা চাইছে সন্ত্রাসীরা। কখনও বা কিছু না চেয়েই দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা। বিষয়টি কেউ কেউ আমলে না নিলেও বেশির ভাগ পরিবারই শঙ্কিত।
দৈনিক সানসাইনের প্রকাশক ইউনুস আলী বলেন, পুলিশ যদি একটা সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের একটু জানাতে পারতেন যে এটা ভুল এটা ঠিক তাহলে আমরা একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম।
রাজশাহী জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে। এখানে পাকিস্তানী ভাব ধারার যে মানুষ আছে তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। তারা বিভিন্ন নামে ও ছদ্দনামে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে এই কাজগুলো করছে।
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রাখার আর একটি শর্ত হল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে এই হুমকি না থাকে শিক্ষক ছাত্র কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই একটা পরিবার।
হুমকি দেওয়া সন্ত্রাসীদের কেউই আটক বা চিহ্নিত হয়নি। পুলিশ বলছে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন তারা।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ইউনির্ভাসিটি এলাকায় ২শ পুলিশ ফোর্স কাজ করে। ইউনির্ভাসিটির আবাসিক এলাকায় প্রতিনিয়তই আমাদের ফোর্স মোতায়েন থাকে। যারা বাইরে আছেন বিচ্ছিন্নভাবে তারা প্রতিনিয়ত খবর দেয় এবং থানা পুলিশরা মোবাইলে খবর রাখে।
হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হলে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা কমবে বলে মনে করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি থেকে নেয়া