লিহান লিমা: পশ্চিম এশিয়া এবং ইরান সফরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার সফর করবেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই ইসরায়েল যাচ্ছেন মোদি। দি হিন্দু
দিল্লি এবং জেরুজালেমের উর্ধ্বতন কূটনৈতিক দ্য হিন্দুকে জানান, ২০১৭ সালেই মোদি ইসরায়েল সফর করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। আর আগামী সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেওভিন রিভলিন।
পররাষ্ট্র সূত্র জানায়,ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিই প্রথম ইসরায়েল সফর করছেন। যা ২৯ জানুুয়ারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ২৫তম বার্ষির্কীতে হবে বলে আশা করা যায়।
বিজেপি জানায়, তাদের প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সফরস্থান পরিদর্শন করেছেন। ইসরায়েলে ভারতীয় বংশদ্ভুত ৮০ হাজার মানুষের বসবাস। ১৯৭০ সালে ভারত থেকে ইসরায়েলে আসা ইউল সুজাওকার বলেন, আমাদের জন্মভূমি এবং মাতৃভূমির মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কে আমরা অনেক খুশি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করে আছি।
ভারত-ইসরাইল সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা কেন?
গত বছর বৈদেশিক বিষয়ক মন্ত্রি সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রীর ইসরায়েল যাওয়ার ঘোষণা করেন। তখন বেশিরভাগের প্রশ্ন ছিল, মোদি কি শুধুই ইসরায়েল ভ্রমণ করবেন নাকি ফিলিস্তিনের রামাল্লাও তার ভ্রমণের তালিকায় থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইমানুুয়েল নাহসন বলেন, আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েল সফর দীর্ঘ হবে এবং দিনের শেষে আমরা দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি প্রত্যক্ষ করব। প্রশ্ন হতে পারে, ভারত এবং ইসরায়েল কেন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আসবে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তবিনিময় প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভারতীয় প্রতিনিধিদল ইসরায়েল সফর করছে।
ফিলিস্তিন ন্যাশনাল অথরিটি জানায়, আমরা আশা করছি মোদির সফর তালিকায় ফিলিস্তিনের রামাল্লাও থাকবে।
ফিলিস্তিনের লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের পলিটিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ড.আবদুল্লাহ বলেন, আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি। ইতোমধ্যেই আমরা রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং বৈদেশিক মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছি। মি. মোদি শুধু মাত্র নির্দিষ্ট স্থানেই (ইসরাইল) সফর করবেন এটি প্রত্যাখান করে তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি ভারত তার নীতি পাল্টাবে না।
ফিলিস্তিনকে ছেড়ে ইসরাইলের বন্ধুর ভূমিকা
গত দুই বছরে এনডিএ সরকার, ফিলিস্তিনের প্রতি ভারতের ঐতিহ্যগত সমর্থন থেকে দূরে সরে যায়। ভারত জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং অতীতের তুলনায় ইসরায়েলে আরো বেশি মন্ত্রী প্রেরণ করে।
১৯৪৮ সালে ভারত ইসরায়েল সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৯২ সালে এটি পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে রুপ নেয়। তখনো কোন প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েল সফর করেন নি। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী ইসরায়েল সফর করেন। ২০১৪ সালে মোদির ইসরায়েল সফরের কথা থাকলেও উপসাগরীয় দেশগুলোর কিছু ইস্যুর কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মোদি ইসরায়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান সফর করেন। মি. নাহসন বলেন, তেল আবিব বিশ্বাস করে তেহরান পরমাণবিক কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে।