আরিফুর রহমান : ছয় মাসের মধ্যে রাজধানীর সব আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে ছয় হাজার বাড়িতে বিভিন্ন নোটিশ পাঠিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। রাজউক বলছে সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা। এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকবে বলছে নগর পরিকল্পনাবিদরা।
ধানমন্ডির ১১ নম্বর সড়কের ৯৯ নম্বর বাড়ি। ৫ তলা আবাসিক ভবনের পুরোটাই ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। অভিজাত আবাসিক এলাকা হিসাবে যাত্রা করলেও এখন সে ধানমন্ডিকে খুঁজে পাওয়াই দায়। যত্রতত্র গড়ে তুলা হয়েছে বাণিজ্যিক ভবন। অনেক আবাসিক ভবন ভাড়া দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে।
ভিন্ন নয় রাজধানীর বনানীর চিত্র। সবচেয়ে বাজে উদাহারণ ১১ নম্বর সড়ক। গুলশান, উত্তরা, বাড়িধারা, মোহাম্মদপুরসহ অন্য আবাসিক এলাকাগুলোও একই অবস্থা। থাকার জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক ও রেস্তরা। ফলাফল দিনভর যানজট, বায়ুদুষণ, শব্দদুষণ।
সমস্যার সমাধানে ছয় হাজার ভবন চিহ্নিত করে নোটিশ পাঠিয়েছে রাজউক, ওয়াসা, তিতাস বা বিপিডিসিরমত সরকারি প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রীসভার নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ এপ্রিল থেকে ছয় মাসের মধ্যে সরাতে হবে এসব প্রতিষ্ঠান।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, ‘চেষ্টা করতেছি ছয় মাসের মধ্যে যে সমস্ত আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে আমরা একটা পর্যায়ে যেতে পারব। অবৈধভাবে কোন কিছু করতে গেলে মানুষ প্রথমে চিন্তা করবে যে এটা রাজউকের নজরে আসলে ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে আমরা সচেতন করতে পেরেছি’।
বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবন না সরালে ভবনের অনুমোদন বাতিলসহ পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন কাটার পরিকল্পনার কথা জানায় সরকার।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘অনাবাসিক এবং অআবাসিক এই দুটি শব্দ বাংলা অভিধানে কোন অস্তিত্ব্য নাই কিন্তু রাজউকের আইনে বিধিমালায় রয়েছে। যদি তাদেরকে অনাবাসিক এবং অআবাসিকের অনুমোদন দেয়া থাকে সেক্ষত্রে এই ধরনের কার্যক্রম সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব না। তদবির এবং সকল ধরনের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে যদি কার্যক্রম করা যায় তবেই সম্ভব।