মনজুর আহমেদ অনিক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ৬ জুন পরবতী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছে আদালত।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। গ্রেপ্তারকৃত নূর হোসেনসহ ২৩ আসামির উপ¯ি’তিতে সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার সাত খুনের ঘটনায় ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ সময় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাবিদ হোসেন, কলেজ ছাত্রী রাবেয়া আক্তার ও তার বাবা শহিদুল ইসলাম, মতিন হাওলাদার, শাহ জাহান ও মোয়াম্মেম হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন। একারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছেন।