এম এ ওহাব : তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে তথ্য কমিশন গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য কমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আয়োজন করেছে ‘তথ্য অধিকার আইন’ সম্পর্কিত সেমিনার।
সেমিনারের মূল আলোচক বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক খুরশীদা বেগম বলেন, সরকার জনগণের উপর সব ধরণের আইন প্রয়োগ করে থাকে, একমাত্র তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে জনগণ সরকারের উপর আইন প্রয়োগ করতে পারেন। এই আইন জনগণ প্রয়োগ করতে পারবে এমন জায়গায় যেখানে জনগণের টাকা আছে। বাংলাদেশের সংবিধানের-৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক এবং ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার। দেশের কোনো জনগণ তথ্য জানতে চাইলে তাকে সঠিক তথ্য প্রদান করাই হচ্ছে এই আইনের লক্ষ্য। তথ্য অধিকার আইন গোপনীয়তার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী উচ্চারণ। তিনি আরও বলেন, এই আইনের কোনো শত্রু নেই।
বিশিষ্ট সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ট্রান্সপারেন্সি সিস্টেম থাকতে হবে। যেমন নিরাপত্তার জন্য যত বড় দেয়াল নির্মাণ করা হয় তত বেশি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। কারণ দেয়াল টপকে চোর ওপাশে গেলে আর দেখা যাবে না। তাই এমন দেয়াল তৈরি করতে হবে যেন দেয়াল পার হলেও চোর দেখা যায় এবং চিহ্নিত করা যায়। তাই তথ্য হতে হবে স্বচ্ছ, তাহলেই সকলের বোধগম্য হবে এবং বাস্তবে রূপ নিবে।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন কার্যকর করতে হলে তথ্য কমিশনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই আইনের মাধ্যমে জাতীয় তথ্যভা-ার তৈরি করতে হবে।’
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হেলেনা ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগম সাঈদ, আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, তথ্য কমিশনের পরিচালক জাফর রাজা চৌধুরী, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক বর্ণনা ভৌমিক। সেমিনার পরিচালনা করেন বিভাগের শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন (রাহাত মিনহাজ)।