সিলেটের সকাল রিপোর্ট:দক্ষিণ সুরমা এলাকায় এক পার্লার ব্যবসায়ী মহিলার গোপনে অশ্লীল ছবি ধারণ করে ইন্টারনেটে ও বিভিন্ন লোকজনের মোবাইলের হোয়াটস আপে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে ২ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশ মোল্লারগাঁও এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে-দক্ষিণ সুরমা থানার গোয়ালগাঁও গ্রামের ইলাছ মিয়ার পুত্র সোয়েব আহমদ জুনন (২৮) ও একই থানার লতিপুর গ্রামের মনির মিয়ার পুত্র লায়েক আহমদ (২০)।
সোমবার পুলিশ আটককৃত সোয়েব ও লায়েককে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী ১) মোঃ মামুনুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে হাজির করে। এ সময় সোয়েব ওই আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে আদালত এ জবানবন্দী বিবৃতি হিসেবে গ্রহণ করেন এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের লতিপুর গ্রামের মোঃ আজগর আলীর স্ত্রী টেকনিক্যাল রোডে অভিজাত বিউটি পার্লার নামে একটি বিউটি পার্লার এর ব্যবসা করে আসছিলেন। সোয়েব আহমদ জুনন ও লায়েক আহমদ তার গ্রাম সূত্রে পরিচিত। ফলে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন কাজে তুষির বাড়িতে তারা আসা যাওয়া করত। এ সুযোগে সোয়েব ও লায়েক মহিলার গোপনে অশ্লীল ছবি ধারণ করে। গত ১২ মে যেকোন সময় ইন্টারনেটে ও বিভিন্ন লোকজনের মোবাইলের হোয়াটস আপে ছড়িয়ে দেয়। এতে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে তারা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মহিলা বাদী হয়ে সোয়েব আহমদ জুনন ও লায়েক আহমদকে আসামী করে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ১৩ (২৭-৫-১৬)। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সোমবার সোয়েব আহমদ জুনন ও লায়েক আহমদকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম জানান, সোমবার আটককৃতদের মধ্যে লায়েক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পরে আদালত তার এ জবানবন্দী বিবৃতি হিসেবে গ্রহণ করেন এবং অদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।