সারোয়ার জাহান : বাংলাদেশি বজরঙ্গি ভাইজানের সহযোগীতায় দিল্লির সোনু ফিরতে যাচ্ছে তার মা-বাবার কাছে। পাচারকারীদের নির্যাতন, মামলা জেল চাকুরিচ্যুত হওয়ার পরও ছয় বছরের প্রচেষ্টায় দিল্লির সোনু ফিরতে যাচ্ছেন তার আপন নিবাসে। তিনি বলিউডের বজরঙ্গি ভাইজান নয়, তিনি হলেন- বাংলাদেশের বরগুনা জেলার জামাল ইবনে মুসা। মায়ের কোলে সোনুকে ফিরিয়ে দেয়ার সংকল্পের কথাও জানান মুসা।
বলিউডের সাড়াজাগানো চলচ্চিত্র বজরঙ্গি ভাইজানে পাকিস্তানের কিশোরিকে ফিরিয়ে দিয়ে ছিল বজরঙ্গি ভাইজান। চলচ্চিত্রে নয় এবার ভারতের এক কিশোর ফেরত যেতে চলেছে বাংলাদেশি বজরঙ্গি ভাইজানের একান্ত প্রচেষ্টায়। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির জোগী এলাকা থেকে নারী পাচারকরীরা ছয় বছরের অবিরুপ সোনুকে নিয়ে আসে বাংলাদেশের বরগুনায়। তখন সোনুর বয়স মাত্র ছয় বছর। পাচারকারীরা সোনুর উপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। বিষয়টি চোখে পরে প্রতিবেশী জামাল ইবনে মুসার। মুসার কাছে সোনু জানায় পাচারকারীদের নির্যাতনের কথা। মা-বাবার কাছে ফিরে যাবার আকুতিও জানায় ভারত থেকে অপহৃত কিশোর অভিরুপ সোনু।
সোনুকে উদ্ধারকারী বজরঙ্গি ভাইজান জামাল ইবনে মুসা জানান, সোনুর কথা শোনে আমার বিবেকে নাড়া দেয় এবং আমি চিন্তা করি এই কিশোরটি যদি অন্যের হয় তাহলে তার বাবা-মায়ের কাছে আমি কিভাবে পৌছাতে পারি।
সোনু ইচ্ছা পূরণে মুসা ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনে যায়। মুসা ধার-দেনা ও নিজ খরচে যান ভারতে। বিষয়টি ভারতের বিভিন্ন পর্যায়ে তুলে ধরেন তিনি। দিল্লির পথে টানা ১৪ দিনের প্রচেষ্টায় সোনুর মা-বাবার সাথে দেখা হবার কথা জানান বাংলাদেশের বজরঙ্গি ভাইজান মুসা জামাল।
সোনুকে উদ্ধারকারী বজরঙ্গি ভাইজান জামাল ইবনে মুসা আরোও বলেন, আমি চাকরি হারিয়েছি, জেল খেটেছি, আমার সংসারের অনেক টাকা পয়সা তার পেছনে ব্যয় করেছি তারপরেও আমি আমার মনোবল হারায়নি। আমি চাই এই বাচ্চাটি আবার তার মা-বাবার কাছে ফিরে যেতে পারে সেই প্রত্যাশাই করি।
বর্তমানে সোনু যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে আছেন। সময়ের সাথে সাথে মায়ের কাছে যাওয়ার ক্ষণ গুনছেন সোনু। সেই সাথে বজরঙ্গি ভাইজানকে ছেড়ে যাবার কষ্টও রয়েছে তার মনে।
সোনু চলতি বছরের জুন মাসের যেকোনো সময় ভারতে তার মা-বাবার কাছে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশি বজরঙ্গি ভাইজান খ্যাত জামাল ইবনে মুসা।-এনটিভি