সিলেটের সকাল রিপোর্ট:দক্ষিণ সুরমায় এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড় টার দিকে বরইকান্দি ৪ নং রোডের মাঝপাড়াস্থ মৃত আব্দুল মতিনের বসতবাড়ীর পিছনের বারান্দার তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচাঁনো অবস্থায় এ লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের নাম-ছাদেক আহমদ (২৮)। সে দক্ষিণ সুরমা থানার হাজরাই চৌধুরীগাঁও গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র। নিহত ছাদেক মোটরসাইকেল মেকানিকের পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিল।
মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে তীরের সাথে ছাদেকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেন। দুপুরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রিপন দাসসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাদেকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে, সে কিভাবে ওই ঘটনাস্থলে গেছে এবং কি কারণে এভাবে রহস্যজনকভাবে আত্মহত্যা করেছে তার কারণ তাৎক্ষনিকভাবে কেউ বলতে পারেনি। তাই ঘটনাটি রহস্যজনক।
জানা গেছে,আব্দুল মতিন মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম ২ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। দুই মেয়ে কামালবাজার রোডের জালালাবাদ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এর মধ্যে এক মেয়ে এবার এসএসসি পাশ করেছে এবং অপর মেয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানায়, নিহত ছাদেক মিয়া আব্দুল মতিনের এক মেয়েকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু, এ বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় সে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন।
দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই রিপন দাস জানান, বরইকান্দি ৪নং রোডের আব্দুল মতিনের বাড়ির পেছনের বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাদেকের মৃতদেহ সোমবার দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে। রিপন জানান, বাড়ির লোকজন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদেকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করেন। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।