ইসমাঈল হুসাইন ইমু : এজাহারের মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মামলা দায়ের করাকে জিআর মামলা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার এজাহার সম্পর্কে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ফৌজাদারি কার্যবিধির ৪(জ) ধারায় নালিশের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
নালিশ হল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর কোনো অপরাধ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগপত্র। জি.আর মামলা দায়ের করতে হয় থানায়, আরসিআর মামলা দায়ের করতে হয় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে।
জি.আর মামলা দায়ের করার সময় দায়েরকারীকে কোনো শপথবাক্য পাঠ করতে হয় না। অন্যদিকে সি.আর মামলা দায়ের করার সময় ফরিয়াদি যা বলবে সত্য বলবে, কোনো মিথ্যা বলবে না এই মর্মে শপথবাক্য পাঠ করতে হয়।
জি.আর মামলা দায়েরের পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাহারের ভিত্তিতে অপরাধ সম্পর্কে তদন্তে অগ্রসর হয়ে অপরাধীকে গ্রেফতার করেন। অন্যদিকে সি.আর মামলা দায়েরের পর ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন বা তদন্ত করার জন্য তিনি নিজে বা অন্য কাউকে নির্দেশ দিতে পারেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ না পেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করতে পারেন। অন্যদিকে নালিশের ক্ষেত্রে আসামির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ না পেলে আসামিকে অব্যাহতি বা খালাস প্রদান করা হয়। জি.আর মামলা শুধু আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে দায়ের করা হয়। অন্যদিকে সি.আর মামলা আমলযোগ্য বা আমল-অযোগ্য উভয় প্রকার মামলার ক্ষেত্রে দায়ের করা যায়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম