ডেস্ক রিপোর্ট : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ২০১৬ আসরের শিরোপা জিতে নিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। রবিবার রাতে (২৯ মে) আসরের ফাইনালে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানদের দল।
ফাইনালে মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয় বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ঝলকে এদিন মুস্তাফিজরা ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাড় করায়।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২০৮ রানের বিশাল স্কোর। অধিনায়ক ওয়ার্নার ও আর এক ওপেনার শেখর ধাওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতে এদিন ভালো একটি রানে ভিত গড়ে হায়দ্রাবাদ। ওয়ার্নার করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান। এই ইনিংস খেলতে তিনি বল খরচ করেন ৩৮টি। যেখানে ছিলো ৩টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার। এছাড়া যুবরাজ করেন ২৩ বলে ৩৮ রান। এছাড়া শেষের দিকে অলরাউন্ডার কাটিং ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে হায়দ্রাবাদের সংগ্রহ ২০০ পার করেন।
হায়দ্রাবাদের ২০৯ রানের টার্গেট তারা করতে নেমে ক্রিস গেইলের ব্যাটে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বেঙ্গালুরুর। বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ বলে ১১৪ রানের জুটি হায়দ্রাবাদের আত্মবিশ্বাসের পাজর ভাঙতে যথেষ্ট ছিলো। অবশেষে ক্যারিবিয়ান দৈত্যকে থামাতে সমর্থ হয় সানরাইজার্স। বেন কাটিংয়ের বলে ৩৮ বলে ৭৬ রানের ঝড় থামার পর কোহলিও খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৫৪ রানের মাথায় শ্রানের বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপরই রানের গতি থেমে আসে। সর্বশেষ ম্যাচে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ভিলিয়ার্সের ভাগ্যদেবতা এদিন সহায় হতে পারেননি। মাত্র পাঁচ রানেই খুশী থাকতে হয়েছে তাকে।
ভিলিয়ার্স থেকে শুরু। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ব্যাঙ্গালুরু। শেন ওয়াটসন বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজের শিকার হন ব্যাক্তিগত ১১ রান করে। মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন স্টুয়ার্ট বিনিও। কিন্তু মিস করে তার সতীর্থ ¯্রান। শেষ ওভারে শিরোপা জয়ের জন্য ব্যাঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ভুবেনেশ্বরের সেই ওভারে বেঙ্গালুরু ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে বিরাট কোহলিদের হার মানতে হয় আট রানে। কোহলিদের বিপক্ষে বেন কাটিং সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নিতে পেরেছেন। এছাড়া মুস্তাফিজ ৩৭ রান দিয়ে এক উইকেট দখল করেন এবং বেগুনি ক্যাপধারী ভুবনেশ্বর কুমার ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকেন।
অবশেষে আইপিএলের নবম আসর জয় করে বাংলাদেশের মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বিরাট কোহলির রয়্যাল চেলেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে তারা ৮ রানে পরাজিত করে। ব্যাট হাতে ঝড়ো ৩৯ রান এবং বল হাতে ২ উইকেট পাওয়ায় কাটিং ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এছাড়া বেঙ্গালুরুর হয়ে বিরাট কোহলি টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক ও হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহক নির্বাচিত হন। আর গুজরাটের অধিনায়ক সুরেশ রায়নার সেরা ক্যাচার হন।