সিলেটের সকাল : অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দ্বারা বিপদে পড়লেন মার্সিডিজ গাড়ির মালিক সিলেটের এক তরুণ ব্যবসায়ী।
সোমবার সিলেট শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে এমন বিড়ম্বনার ঘটনা ঘটে। শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মইনুল খান জানান, অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এক ব্যবহারকারী শখের বশবর্তী হয়ে গাড়ির মডেলের স্থানে ‘ই২০০’ এর পরিবর্তে `ই৫০০` স্থাপন করেন। আর এ কারণে শুল্ক ফাঁকির সন্দেহে ওই গাড়ি আটক করে কাস্টমস বিভাগ। পরবর্তী সময়ে কাস্টমসের অনুসন্ধানে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল `ই৫০০` মডেলের ৫০০০ সিসির মার্সিডিজ গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী সিলেট শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে ওই মার্সিডিজটি (ঢাকা মেট্রো গ-২৩৭৬১৮) সাময়িকভাবে জব্দ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, বিআরটিএ ও কাস্টমস রেকর্ডে গাড়িটি `ই২০০` মডেলের ২০০০ সিসির। রেকর্ডের গাড়ির শুল্ক ২১৫ শতাংশ। কিন্তু গাড়ির মালিক শখের বশবর্তী হয়ে গাড়ির মডেলের স্থানে `ই২০০` এর পরিবর্তে `ই৫০০` স্থাপন করেন। অর্থাৎ `ই৫০০` মডেলের ৫০০০ সিসির গাড়ি হয়ে যায়। এতে শুল্ক প্রযোজ্য ৮৪১ শতাংশ। যাচাইবাছাইয়ের পর শুল্ক ফাঁকির সত্যতা না পাওয়ায় গাড়িটি মালিককে ফেরত দেওয়া হয়।
গাড়ির মালিক সিলেটের একজন প্রতিষ্ঠিত তরুণ ব্যবসায়ী। তবে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র ওই তরুণ ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করতে অপরগতা প্রকাশ করেন।
ওই তরুণ ব্যবসায়ী ও গাড়ির মালিক কাস্টমসকে জানান, অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তিনি উচ্চ সিসি মডেলের স্টিকার সংযুক্ত করেন। শখের বশবর্তী হয়ে তিনি গাড়ির গায়ে মডেলের চিহ্ন `ই২০০` এর পরিবর্তে `ই৫০০` বসান। শখ মেটাতে গিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়।