নবীগঞ্জের কাজির বাজারে পুলিশ ও বিজিবির উপর হামলার ঘটনায়
থানায় অভিযোগ
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের কাজিরবাজারে শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থক কর্তৃক বিজিবি ও পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা ও সরকারী কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৮টি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২/৩শ’ লোকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। নবীগঞ্জ থানার এসআই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আশিক মিয়াকে মামলার প্রধান আসামী করেছেন। গ্রেফতার আতংকে বাগাউড়া গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম এখন পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ৩জন বিজিবি সদস্যসহ প্রায় ২০ জন লোক আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর নবীগঞ্জ উপজেলার ২নং বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া জালালিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্র থেকে ভোট গণনা শেষে ব্যালট বাক্স নিয়ে বিজিবি ও পুলিশের পাহারায় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কন্ট্রোল রুমে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাগাউড়া গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ বাগাউড়া জামে মসজিদের মাইকে জানান, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা আশিক মিয়া চেয়ারম্যানের ভোটের ব্যালট বাক্স ভোট গণনা না করেই ‘ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর শুনা মাত্রই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আশিক মিয়ার ভাতিজা আবুবক্কর ও ছাত্রদল নেতা কাশেম মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক কাজির বাজারে রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যালট বাক্স বহনকারী পুলিশ ও বিজিবির বহরে থাকা ৮টি গাড়ী আটক করে ব্যালট বাক্স আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ও বিজিবি বাঁধা দিলে তাদের উপরও আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থকরা চড়াও হয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আশিক মিয়ার কর্মী সমর্থকদের সাথে পুলিশ ও বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ফলে পুলিশ বিজিবি আত্মরক্ষার্থে প্রায় ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এতে হামলাকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় ৩জন বিজিবি সদস্য, ২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০জন লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারে থাকা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আতংকে দিকবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। এ ঘটনার পর থেকে বাগাউড়া ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।