আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের রেল বিভাগের কর্মীরা ধর্মঘটে যাচ্ছে। আগে থেকেই শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছিলো। শ্রমিকদের ধর্মঘটের ঘোষণায় পরিবহন সংকট আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেল পরিবহন ইতোমধ্যেই জ্বালানি সংকটে ভুগছে।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলান্দ জানিয়েছেন তিনি সংস্কার কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াবেন। এ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে রেল বিভাগে শ্রমিক নিয়োগ ও ছাঁটাই সহজতর হবে।
ফ্রান্সে, প্যারিস মেট্রো-পরিবহনের কর্মীরা বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এয়ার ফ্রান্সের পাইলটরা বেতন সংক্রান্ত দাবির পক্ষে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর গত সোমবার থেকে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর প্রতিবাদ শুরু হলে ফ্রান্সের ৮টি তেল শোধনাগারের মধ্যে ৬টিই হয় সীমিতি আকারে চলছে, নয় বন্ধ রয়েছে। তেল সরবরাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর লে হার্ভের শ্রমিকরা ধর্মঘটে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সপ্তাহে ৩৫ ঘন্টা কাজের সীমা ঠিক থাকবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সঙ্গে এ নিয়ে দর কষাকষি করতে পারবে। শ্রমঘন্টা কমতেও পারে, ৪৬ ঘন্টা পর্যন্ত বাড়তেও পারে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মজুরি কমানোর জন্য অনেক বেশি স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কারে প্রতিষ্ঠান লে-অফ ঘোষণা করার শর্ত শিথিল করা হয়েছে। যা ফ্রান্সে এখনো খুবই নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে করতে হয়। প্রস্তাবিত সংস্কার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজন মনে করলেই শ্রমিক ছাঁটাই করতে পারবে। কোম্পানিগুলো সাপ্তাহিক ছুটি ও বিশেষ ছুটির বিষয়ে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, ফ্রান্সে এমনিতেই ১০ শতাংশ বেকার। এই সংস্কার আরো অনেক মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। আর প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলছেন সংস্কার প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। পাশের দেশ বেলজিয়ামের সরকারি খাতের শ্রমিকরা বাজেটে বরাদ্দ কমানোর প্রতিবাদে আজ মঙ্গললবার থেকেই ধর্মঘটে গেছে। কারারক্ষী ও ট্রেন চালকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পুলিশ বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারিরা। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বাজেট বরাদ্দ কমানোসহ শ্রমঘন্টা বদল ও অবসরে য্ওায়ার বয়স বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। বিবিসি।