সিলেটের সকাল রিপোর্ট॥ অবশেষে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর বাইপাস-ভোলাগঞ্জ হাইওয়ে নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)-এর সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনজন কেবিনেট মন্ত্রী ও সওজের পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আগামী ৩৪ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ কাজ সম্পন্ন করবে।
চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন সওজ-সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইফতেখার কবির এবং স্পেকট্রা’র চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং যোগাযোগ সচিব এম এন সিদ্দিক বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুন নুর , কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির মছব্বির, যুবলীগ নেতা তজব আলী, ধোপাগুল পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন ও সেক্রেটারী ইকলাল আহমদ সহ সওজের প্রায় তিন শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ওসমানী বিমানবন্দর বাইপাস-ভোলাগঞ্জ হাইওয়ে নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
‘ইম্প্রোভমেন্ট অব এয়ারপোর্ট বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ রোড এস ন্যাশনাল হাইওয়ে’-শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক)-এর সভায় অনুমোদিত হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়-৪৪৩ কোটি টাকা। ঠিকাদার বাছাইসহ আনুষঙ্গিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর মঙ্গলবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। ২০১৫ সালে সড়কটি পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ সড়কে ‘ক্যান্সার’ আক্রান্ত সড়ক হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন।
সওজের সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার কবির জানান, প্রকল্পটি দু’টি প্যাকেজে বাস্তবায়িত হবে। ৩১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা হবে ফ্লেক্সিবল পেভমেন্টের (বিটুমিনাস)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে-প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর আওতায় দুই স্প্যান বিশিষ্ট একটি ব্রীজও নির্মিত হবে। পাশাপাশি কয়েকটি কালভার্ট, ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, স্টোন পাইল কমপ্যাক্টেড ও মাটির কাজ অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আর ১৩ কিলোমিটার রাস্তা হবে রিজিড পেভমেন্টের (কংক্রিটের)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। তবে, প্রকল্প ব্যয়-আরো বাড়তে কিংবা কমতেও পারে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পটি সুপারভিশনের জন্য প্রকল্প পরিচালকের বাইরে দেশের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত একটি ফার্মকে কনসালট্যান্ট হিসাবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু হওয়ার দিন থেকেই ভোলাগঞ্জে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন (ওজন পরিমাপক যন্ত্র) স্থাপন করা হবে। লোড ঠিক না থাকলে সংশ্লিষ্ট যানবাহন ফিরিয়ে দেয়া হবে। নির্মিত হবে একটি টোল প্লাজাও-জানিয়েছেন ইফতেখার কবির।
সওজ-এর একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দুটি বেইজ ক্যাম্প নির্মাণ করা হবে। সড়কের সালুটিকর অংশে একটি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিমে সওজ-এর নির্ধারিত ভূমিতে আরেকটি বেইজ ক্যাম্প নির্মিত হবে।